পিছিয়ে পড়া ১০ পরিবার রির্জাভ ডে-তে ভারত গমন করলো

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ৩০ নভেম্বর॥
বিলুপ্ত ছিটবাসীর শেষ দলটির ১০ পরিবারের ২৬ জন সদস্য রির্জাভ ডে-  স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য  ভারত গমন করলো। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এই দলটি  নীলফামারীর চিলাহাটি-হলদিবাড়ি অভিবাসন সীমান্ত পথ দিয়ে ভারত গমন করে। এরা পঞ্চগড় জেলার দেবিগঞ্জ উপজেলার কোটভাজনীর ৮ পরিবার, দখলা খাগড়াবাড়ির ১ পরিবার  ও বেলুয়াডাঙ্গার ১ পরিবার। এরা বাংলাদেশ থেকেই একটি  বাসে ও দুইটি ট্রাকে মালামাল নিয়ে ভারত গমন করে। এদের মধ্যে পুরুষ ১৫ জন,নারী ৭ জন ও শিশু ৪ জন ছিল। এর আগে তাদের চিলাহাটি ডাঙ্গাপাড়াস্থ্য আব্দুর রউফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা হয়।
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সফিকুল ইসলাম জানান নির্দিষ্ট চারদফায় অনেক পরিবার যেতে পারেনি। এদের মধ্যে বির্জাভডে-তে যাওয়ার কথা ছিল ১৫ পরিবারের। এদের মধ্যে ৫ পরিবারের ১১ জন ভারত গমন বাতিল করে। তারা বাংলাদেশেই থাকার অঙ্গিকার করেছে।  তিনি আরো জানান পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় -বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা থেকে সর্বমোট ভারত গমনের কথা ছিল ৯৮ পরিবারের ৪৮৭ জন সদস্যের। কিন্তু শেষ দফা রির্জাভ ডে -সোমবার পর্যন্ত ভারত গমন করলো ৯৩ পরিবারের নিবন্ধনকৃত ৪৭৬ জন। এর সাথে যোগ হয়েছে দুইজন নবজাতক। ফলে সর্বমোট ভারত গমন করলো ৪৭৮ জন। তিনি বলেন নীলফামারীর চিলাহাটি-হলদিবাড়ী অভিবাসন সীমান্ত পথে যারা ভারত গমন করেছেন তারা সকলেই  পঞ্চগড় জেলা  অভ্যান্তরে থাকা ৩৬ বিলুপ্ত ভারতীয় ছিটের মধ্যে ১১টি ছিটের বাসিন্দা ছিল।  এর আগে এই সীমান্ত পথে গত ২২-২৩ ও ২৪ ও ২৬ নবেম্বর  ৪ দফায় ভারত গমন করেছিল ৪৫২জন সদস্য।
রিজার্ভডে -তে যে ১০ পরিবারের ২৬ জন সদস্য ভারত গমন করলো তাদের চিলাহাটি-হলদিবাড়ি সীমান্ত পথে বরনে ও বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পক্ষে  কুচবিহারের এডিএমের পক্ষে প্রতিনিধি বিডি তাপন কুমার রায়, ৫৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়ানের স্টাফ অফির্সাস মেজর মঞ্জিল সিং, কাষ্টমস ইন্সপেক্টর সন্দীপ ব্যানার্জী। অপর দিকে বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন নীলফামারী সদরের এসিল্যান্ড ফখরুল হাসান, দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সফিকুল ইসলাম,কাষ্টমস সুপার হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
ভারত গমনের আগে চিলাহাটি  এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। এখানে দেখা যায় কোটভাজনী ছিটমহলের সাবেক চেয়ারম্যান  ৯০ বছরের বৃদ্ধ মহেশচন্দ্র রায় বাংলাদেশে রেখে গেলেন ৬ মেয়ে ও দুই ছেলে। মহেশচন্দ্র তার দ্বিতীয় স্ত্রী লক্ষ্মিরানী -ছেলে কমলেশ্বর ও তার স্ত্রী অনিতা রানী- কৃষ্ণ রায় ও তার স্ত্রী ময়ুরী রানী-ছেলে রতন ও সোনাতন। এদের বিদায় জানাতে সীমান্তে এসেছিল মহেশচন্দ্র রায়ের ৬ মেয়ে ও জামাই ও ২ ছেলে ও তাদের স্ত্রী। এরা হলো ছবি রানী-দয়ারানী-মায়ারানী-রুমারানী-রিতারানী- ভাস্যরানী- প্রমোদ চন্দ্র ও মধু চন্দ্র।হৃদয়ের ভেতরের ভালবাসাটুকু উজার করে ভারত চলে যাওয়া আগে আতœচিৎকারের কোন্দন (কান্না) মাটিতে শুয়ে গড়াগড়ি এ যেন স্বাধীন বাংলার মাটিকে ছুঁেয় যায়।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 1667340532534561305

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item