গাইবান্ধায় নিষিদ্ধ পলিথিন সয়লাব ॥ প্রশাসন নিরব
https://www.obolokon24.com/2015/12/gaibandha.html
হাজী মারুফ রংপুর ব্যুরো অফিস :
গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ ছেয়ে গেছে। পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর সরকার নিষিদ্ধ পলিথিনের আগ্রাসন বেড়েই চলেছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় পলিথিনের ব্যবসা জমজমাট ভাবে চললেও কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছেনা আইন শৃংখলা বাহিনী। এমনকি পরিবেশ অধিদপ্তরও রয়েছে নিশ্চুপ। ফলে পরিবেশবাদীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। চিকিৎসকরাও পলিথিনের কুফল নিয়ে নানা মত প্রকাশ করেছেন।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার প্রতিটি হাট-বাজারে পলিথিনের ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। প্রতিটি দোকানে মজুদ করা হচ্ছে হাজার হাজার কেজি পলিথিন। প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজনের সাথে অলিখিত চুক্তি থাকায় এ ব্যবসা পরিচালনায় তাদের কোন ঝামেলা হয় না বলে এটি এখন ওপেন সিক্রেটে পরিণত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের ব্যবসায়ীদের গোডাউনে এখন মজুদ রয়েছে বিপুল পরিমাণ পলিথিন। পলিথিনের অবৈধ ব্যবসা জমজমাটভাবে চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে নীরব। এমনকি পরিবেশ অধিদপ্তরেরও কোন কর্মকান্ড পরিলক্ষিত হয়নি পলিথিনের অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে তাদের সাথেও ওইসব ব্যবসায়ীদের রয়েছে মাসিক চুক্তি। আর এজন্যই তারা নিশ্চুপ। এদিকে পলিথিনের অবাধ ব্যবহারের ফলে নর্দমাগুলো ভরাট হয়ে গেছে। ফলে বর্ষা মওসুমে শহরের জলাবদ্ধতা পলিথিনও একটি কারণ হয়ে উঠেছে। এছাড়া জমির উর্বতাও কমে যাচ্ছে এসব পলিথিনের কারণে।
অপরদিকে পলিথিনে খাবারসহ অন্য খাদ্য সামগ্রী বহন করায় কমে যাচ্ছে খাবারের মান। কারণ এক ধরণের বিষক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় খাদ্যের মান কমে যায়। এতে করে পলিথিনে রাখা ওইসব খাদ্য শরীরে প্রবেশ করলে নানা ধরনের জটিল রোগ সৃষ্টি হচ্ছে। পরিবেশবাদীদের মতে অবিলম্বে যদি পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে পরিবেশে নেমে আসবে মারাত্মক বিপর্যয়। এ কারণে আগামী প্রজন্মকে এর চরম মাশুল দিতে হবে।
কৃষিবিদদের অভিমতে, পলিথিনের অবাধ ব্যবহারের কারণে জমির উর্বরতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। কারণ এসব পলিথিন মাটির নিচে যেখানেই থাকছে সেখানকার মাটি কোন কাজে আসবে না। তাই পলিথিন ব্যবহার বন্ধে এখনই কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন তারা।