ডিমলায় প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ছাত্রীর অভিযোগ
https://www.obolokon24.com/2015/12/dimla_46.html
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ২০ ডিসেম্বর॥
বন্ধ হয়ে যাওয়া ডেসটিনিতে ৫০ হাজার টাকা খুঁয়ে সেই টাকা আদায়ে এক ছাত্রীর উপর দায় চাপিয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খগাবড়বাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মারুফা বেগম লিজা। এমন কি সেই ৫০ হাজার টাকা উত্তোলনে ২০১০ সালে এসএসসি পাশ করা ছাত্রী লতিফা আক্তার কাজলের দিনাজপুর শিক্ষা বোডের সনদ, মার্কশীট ও প্রশংসা পত্র গত ৫ বছর থেকে আটকিয়ে রেখেছে ওই প্রধান শিক্ষিকা। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী রবিবার (২০ ডিসেম্বর) লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিমের কাছে।ছাত্রীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সে ডিমলা উপজেলার খগা বড়বাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে এসএসসি পাশ করে। এসএসসি পাশের বোড সার্টিফিকেট দীর্ঘদিন ধরে আটক করে রেখেছেন প্রধান শিক্ষিকা মারুফা বেগম লিজা। ফলে ছাত্রীটি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ তার রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিনে থেকে বিদ্যালয়ে গেলেও তাকে এসএসসি পাশের সার্টিফিকেট, প্রশংসা পত্র ও মার্কশীট প্রদান করছেনা না প্রধান শিক্ষিকা। ছাত্রীটি জানায় তা মা আছিয়া বেগম ডেসটিনি-২০০০-এর সদস্য হয় এবং ৫০ হাজার টাকা শেয়ার কেনে। আছিয়ার মার দেখাদেখি প্রধান শিক্ষিকা লিজাও ডেসটিনি-২০০০ এর সদস্য হয়। তারও ৫০ হাজার টাকা খোঁয়া যায় ডেসটিনিতে। এখন প্রধান শিক্ষিকা তার খোয়া যাওয়া ডেসটিনির ৫০ হাজার টাকার দায় চাপিয়েছে ওই ছাত্রীর মায়ের উপর। এখন সেই টাকা না দেয়া পর্যন্ত তিনি ছাত্রীর সার্টিফিকেটসহ কোন কিছুই দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এ ভাবে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ওই ছাত্রী তার এসএসসি সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য কাগজ পত্রাদি বিদ্যালয় থেকে উত্তোলন করতে না পারায় উচ্চ শিক্ষ্ াগ্রহনে কোন কলেজে ভর্তি হতে পারেনি। স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষিকা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা মারুফা বেগম লিজার সাথে সাংবাদিকরা কথা বললে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন ছাত্রীটিকে স্কুলে এসে তার বোর্ড সনদ সহ অন্যান্য কাগজপত্র তুলে নিয়ে যেতে বার বার বলা হলেও ওই ছাত্রী স্কুলে আসছেনা। অথচ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করছে।
এ ব্যাপারে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, রবিবার ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ পত্র পেয়েছি। তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।