ডিমলায় পরকিয়ার জেরে গৃহবধুর আত্মহত্যা (?)

জাহাঙ্গীর আলম রেজা,ডিমলা(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী ডিমলায় পরকিয়ার জেরে আত্মহত্যা করলো গৃহবধু নমিতা।
উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের উত্তর ঝুনাগাছ চাপানী গ্রামের বানেশ্বর রায়ের স্ত্রী নমিতা রানী রায়(৩৫) এর সাথে একই এলাকার বিশ্বনাথ মোহন্তের পুত্র মাধাব মোহন্ত(৪০) এর দির্ঘদিন যাবত পরকিয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নমিতার স্বামী বানেশ্বর রায় কুমিল্লা শহরে গিয়ে দিন মজুরের কাজ করে।
এরই সুবাদে স্ত্রী নমিতা রানী পাশ্ববর্তি মাধাব চন্দ্র মোহন্তর সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং প্রতি দিন গভীর রাতে নমিতার বাড়ীর শয়ন ঘরে দুজনে দৈহিক মেলামেশায় মিলিত হয়। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে কয়েকবার বিচার সালিশও হয়। ঘটনার দিন শনিবার রাত ৯ টায় প্রতিদিনের ন্যায় মাধব নতিমার ঘরে প্রবেশ করে এবং এক পর্যায় দুজনের মাঝে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হলে নমিতার শিশু কন্যা কৃষ্ণা(৭)জেগে উঠে মাধবকে চিনে ফেলে চিৎকার করলে মাধব নমিতার ঘর হতে তরিঘড়ি করে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তার ব্যবহƒত মোবাইল ফোন, পড়নের লুঙ্গি,মাফলার ও একটি গামছা ফেলে রেখে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে নমিতা সকলের অগোচরে লোকলজ্জার ভয়ে নিজ শয়ন ঘরের তীরের সাথে গলায় শাড়ি  পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে। এলাকাবাসী মাধবের রেখে যাওয়া আলামত দেখে মাধবকে শনাক্ত করে ডিমলা থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে নমিতার লাশ ও মাধবের আলমত উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রবিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ নীলফামারী জেলার মর্গে প্রেরন করে। ডিমলা থানার সাব ইন্সপেক্টর সাহাবুদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নমিতা আতœহত্যা করেনি। উদ্ধারকৃত আলামতের ভিত্তিতে তাকে আতœহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। আসামীর রেখে যাওয়া আলামতের ভিত্তিতে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7179099662597738435

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item