নীলফামারীতে কৃষকের ঘরে উঠছে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২

আবু ফাত্তাহ্ কামাল পাখি,স্টাফ রিপোর্টারঃ

জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২ কাটাই মাড়াই শুরু হয়েছে। রোপনের তিন মাসের মাথায়  চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম থেকেই এই ধান কাটা শুরু হয়েছে । নীলফামারী জেলার দুইশ' কৃষক দুইশ' বিঘা জমিতে এ ধান আবাদ করেছেন। কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে আরডিআরএস ও হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের সহযোগিতায় মাঠ পর্যায়ে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২-র সম্প্রসারণ শুরু হয় ২০১৪ সাল থেকে। নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী ,কুন্দুপুকুর ও ইটাখোলা ইউনিয়নে একশত বিঘা কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ৬০ বিঘা ও জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ ইউনিয়নের ৪০ বিঘা জমিতে এই ধান আবাদ করা হয়। টুপামারী ইউনিয়নের দাউদ গ্রামের নারী চাষি তাহেরা বেগম ,কামিনী রায়,আরতি রানী মোর্শেদা বেগম জানান চলতি বছরের ১৩ জুলাই তারা স্ব-স্ব ভাবে ৪ বিঘা জমিতে ২০ দিন বয়সের ব্রি ধান- ৬২'র চারা রোপন করেন। ৯৯ দিনের মাথায় ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। এক বিঘায় সাড়ে ১৬ মণ ধান পেয়েছেন তারা। জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মেলাবর গ্রামের বাবুল চন্দ্র,প্রকাশ রায়,তহমিনা বেগম,অরবিন্দু রায়,খলিল সহ আরো অনেকে  বলেন, স্বল্পমেয়াদী এ ধান কাটার পর আগাম আলু লাগানো যাবে। বিষয়টি তাদের এ ধান চাষে উৎসাহিত করেছে। টুপামারী ইউনিয়নের দাউদ গ্রামের নারী চাষি তাহেরা বেগমকে দেখা যায় তিনি তার দুই ছেলে আবু তাহের  ও আবু মাজেদ কে সাথে নিয়ে তার আবাদী জমির জিংক ধান কর্তন করে বাড়িতে উঠেয়েছে। আগাম ও পুষ্টিগত এই ধান আবাদ করে তাহেরা বেগম নিজেকে সফল চাষী হিসেবে মনে করেন।আরডিআরএস নীলফামারীর কৃষি কর্মকর্তা দিলীপ কুমার রায় বলেন, জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২ মানুষের রোগ প্রতিরোধ মতা বাড়ায়, বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটায়, সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়, শিশু ও বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটায় এবং বুদ্ধি বিকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, আগাম জাতের ধান হওয়ায় এই ধান কাটাই মাড়াই এ অনেক পরিবারের অভাব দুর হয়েছে। পাশাপাশি ধান আবাদের জমিতে আগাম আলু চাষ করা যাবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 9221740625665966233

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item