পার্বতীপুর - চিলাহাটি পথে চলন্ত ট্রেন থেকে অভিনব কায়দায় তেল চুরি

মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি-
পার্বতীপুর থেকে সৈয়দপুর হয়ে চিলাহাটি পথে চলাচলরত ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে আবারও অভিনব কায়দায় তেল চুরি যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এ অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগে কর্মরত ক’জন ব্যক্তি।

অভিযোগের প্রকাশ পার্বতীপুর থেকে সৈয়দপুরে চলাচলরত ২৭ আপ ২৮ ডাউন মেইল, ৫৯১ আপ লোকাল ট্রেন এবং পার্বতীপুর থেকে সৈয়দপুর হয়ে নীলফামারী-চিলাহাটি পর্যন্ত যোগাযোগের সীমান্ত এক্সপ্রেস, রূপসা এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, তিতুমীর এক্সপ্রেসসহ নীল সাগর এক্সপ্রেস থেকে প্রায় প্রতিদিনই তেল চুরি হচ্ছে। তেল চুরির স্থান গুলো হচ্ছে পার্বতীপুরের বেলাইচন্ডী, সৈয়দপুর, খয়রাত নগর, দারোয়ানী, নীলফামারী কলেজ ষ্টেশন, তরণীবাড়ী রেল ষ্টেশন এলাকার সিগন্যাল সংলগ্নসহ একাধিক এলাকায় চলন্ত ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে ইঞ্জিন চালকসহ আর,এন,বির ক’জন কর্মকর্তা ও সদস্যদের সহযোগিতায় ব্যারেল ভর্তি তেল নামিয়ে নেয়া হচ্ছে।
অভিযোগে বলা হয় পার্বতীপুর থেকে চিলাহাটি ষ্টেশন পর্যন্ত যেসব স্থানে তেল চুরি হয় সেসব স্থানের চোরেরা চোরাইকৃত তেল নিয়ে যায় পার্বতীপুরের বেলাইচন্ডী ষ্টেশন এলাকায় এবং সেখান থেকে পাচার করা হয় উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায়। সৈয়দপুর শহরের খান নামের এক সময়ের কুখ্যাত চোর জি,আর,পি, থানার ক’জন পুলিশ কর্মকর্তার মদদে ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে তেল চুরি করে আসছিল কিন্তু সম্প্রতি তার সাথে একই এলাকার কাদের খান নামের ব্যক্তিটিও সম্পৃত্ত হয়েছে।
বিশ্বাস্ত একটি সূত্র জানায় পার্বতীপুর থেকে চিলাহাটি পর্যন্ত যতগুলি তেল চোর রয়েছে তাদের সর্দার হলো বেলাইচন্ডী এলাকার সাবেক ইউ,পি মেম্বার সিরাজুর ইসলাম। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যত ব্যারেল তেল চুরি হয় তার প্রায় সবই মজুদ করা হয় ওই ইউ,পি মেম্বারের গোডাউনে এবং সেখান থেকে পাচার করা হয় বিভিন্ন এলাকায়।
বেলাইচন্ডী এলাকার একটি সূত্র জানায় উত্তরাঞ্চলের তেল ক্রেতাদের সাথে সেরাজুলের মোবাইলে যোগাযোগ হলেও ট্রেনের নির্ধারিত সময়ে তাকে বেলাইচন্ডী রেল ষ্টেশনে ঘুর ঘুর করতে দেখা যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রেল কর্মকর্তা জানান ক’জন ট্রেনের ইঞ্জিন চালক আর,এন,বি কর্মকর্তা কর্মচারীসহ জি,আর,পি পুলিশের সহযোগিতায় চোরেরা বেপরোয়া হওয়ায় সরকার প্রতি বছর ট্রেন খাপ থেকে মোটা অংকের লোকসান গুনছেন। অথচ তেল চোর সহ মদদকারীরা পকেটস্থ করছে লাখ লাখ টাকা।
এব্যাপারে রেলওয়ে ষ্টেশন মাস্টার আলমগীর হোসেন ও জি,আর,পি থানার ওসি লুৎফর রহমানের সাথে কথা বললে তারা জানান চোরদের তেল চুরির বিরুদ্ধে কোন স্বাী প্রমান নেই। স্বাী প্রমান পেলে অবশ্যই জরুরী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তারা।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8969544099793166908

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item