চলতি আমন মৌসূমেও বৃষ্টির দেখানেই রোপনকৃত আমন ক্ষেত ফেটে চৌচির

এ.আই.পলাশ ঃ “আল্লাহ মেঘ দে পানি দে ছায়া দেরে তুই” এই গানটির প্রতিধ্বনী নীলফামারী জেলার প্রতিটি পাড়া মহল্লার মসজিদে মসজিদে শোনা যাচ্ছে। ভরা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা মিলছে না। এ যেন নতুন মরু অঞ্চলের দেখা দিয়েছে। প্রচন্ড তাপদাহতায় পুড়ছে মাঠঘাট। পুড়ছে সবুজ ফসলের মাঠ। দেখা মিলছে না বৃষ্টির। কৃষককুল ভেবে আকুল; এই বর্ষা মৌসুমেও এক ফোটা বৃষ্টির দেখা মিলছে না।
  আষাঢ় এলেই শুধু নদী নয় অন্যান্য খালবিল থেকে শুরু করে ঘরের উঠান পর্যন্ত পানিতে ভরে যায়।
কিন্তু আষাঢ় শেষ হয়ে শ্রাবণ এলেও সেই কাংখিত বৃষ্টির কোন দেখা নেই উত্তরবঙ্গ বিশেষ করে নীলফামারী জেলায়। পানির অভাবে এখনও অনেক এলাকায় কৃষক আমন ধানের চারা জমিতে রোপন করতে পারে নি। অনেকেই সেচ দিয়ে আমন রোপা জমিতে আমন চারা লাগিয়েছে। দারিদ্র জনগোষ্ঠি বেশি হওয়ায় সেচপাম্প দিয়ে সেচ দেওয়ার সুযোগও খুবই কম। আবার যারা রোপা বীজ লাগিয়েছে তাদের জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে এই অতি খরায়। বৃষ্টি না হওয়ায় গ্রীষ্মের আকার ধারণ করেছে নদী-নালা খালবিলগুলোতে। আর ভরা বর্ষা মৌসুমেও সামর্থ্য অনুযায়ী সেচ দিয়ে আমন চারা বাঁচানোর চেষ্টা করছেন কৃষকগণ। আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষাকাল হলেও বৃষ্টির কোন দেখা মিলছে না। পূর্বে আষাঢ়ের শেষে শ্রাবণের শুররু থেকে একটু বৃষ্টিপাত হলেই কৃষকগণ রোপা আমন জমিতে রোপন করে থাকেন। আর রোপন করা আমন চারা বাঁচানোর জন্য আল কেটে বর্ষার পানি বের করে দিতে হতো কৃষককে। কিন্তু শ্রাবণের প্রায় অর্ধেক চলে গেলেও মিলছে না বৃষ্টির দেখা। আমন চারা রোপন করতে না পেরে খালি পড়ে আছে অনেক জমি।  খাঁ খাঁ করছে মাঠঘাট ফসলি জমি। মাথায় হাত রেখে কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন,“ মুই ৫বিঘা ভূই আবাদ কর। পানি না হইলে তো ওয়ালাও আর বাঁচিবার নহয়। তাহালে মোক জমি বেঁচি খাবার নাগিবে, ভাবি পাও না”। দেশের অন্যান্য এলাকায় প্রচুর বৃষ্টির কারণে বন্যাদেখা দিলেও এখানকার আকাশ মেঘমুক্ত। হাঁকডাক দিয়ে আকাশে মেঘ করলেও বৃষ্টিপাতের কোন সম্ভাবনাই নেই। মাঝে মধ্যে একটু আধটু বৃষ্টি হলেও তা যৎসামান্য। এই এলাকার প্রধান চাষাবাদ আমন হওয়ায় বিপাকে পড়েছে কৃষকগণ। অনাবৃষ্টির কারণে অপোকৃত উচু জমিতে পানি না থাকায় আমন চারা রোপন করতে না পেরে অনেক কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। বিশেষজ্ঞগণের মতে, এই এলাকার মাটি বেলে-দোঁআশ হওয়ায় পানির ধারণ মতা কম। কম বৃষ্টিপাতের কারণে মাটির উপরিভাগ শুধু ভিজে যায়। যাতে করে আমন চারার সমস্যা দেখা দেয় বেশি ভাগেই। তাদের মতে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিও কারণে অনাবৃষ্টি অতিবৃষ্টি প্রভাব পড়েছে এদেশেও। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের অনেক জেলাই এখন অনাবৃষ্টির কারণে খাঁ খাঁ মরুভূমিতে পরিনত হয়েছে । আর ষড়ঋতুর দেশ হয়ে যাচ্ছে তিন ঋতুর দেশে। এমন চলতে থাকলে হয়তো দেখা মিলবে না বাকি ঋতুগুলোর। শীত ও গ্রীষ্ম ঋতুই বেশির ভাগ সময় ধরে বিরাজ করবে। বৈশ্বিক আবহাওয়া উপো করে বৃষ্টি নির্ভর চাষাবাদের উপর নির্ভর না করে বিকল্প উপায়ে কৃষিকাজ সম্পন্ন করে কৃষকগণের প্রতি মত প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞগণ

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2503846359103914888

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item