সৈয়দপুরে চোরাচালানের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি-
ভারতীয় ও চায়না পণ্য চোরাচালানে যুক্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ থেকে শিশুরাও। অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের জন্য মাদকদ্রব্যসহ নানা ধরনের মালামাল আনা নেয়া করছে তারা। পুলিশ প্রশাসনের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক না থাকায় ক্রমেই চোরাকারবারীদের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তারা প্রতিনিয়ত বদল করছে রুট।
বিভিন্ন তথ্য প্রদানকারীর মারফত জানা যায়, সব ধরনের মাদকদ্রব্য, খাদ্যদ্রব্য, ঔষধ, মসলা, কসমেটিক্স, কৃষি উপকরণ ও পলিথিনসহ এমন কোন জিনিস নেই ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে আসছে না সৈয়দপুরে। মাঝে মধ্যে প্রশাসন তৎপর হয়ে উঠলে বদল করা হচ্ছে রুট। এদের নেটওয়ার্ক এতটাই শক্তিশালী যে তারা পুলিশকে হেনস্থা করতে ছাড়ছে না।

চোরাচালানের রুট হিসেবে মাদক, কাপড় চোপড় ও মসলার জন্য হিলি বর্ডার, কৃষি উপকরণ ও গরুর জন্য ঠাকুরগাঁও বর্ডার এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলা, কসমেটিক্স ও পলিথিন আসছে ফুলবাড়ী উপজেলার চান্দেরহাট, খোকশাবাড়ী, গংগারহাট এলাকা থেকে। সীমান্ত এলাকার ছিটমহলে অবস্থান নিয়ে চোরাকারবারীরা সহজেই চালাচ্ছে তাদের নেটওয়ার্ক।
প্রায় সময় সপ্তাহে দুই ট্রাক ভারতীয় সাইকেল আমদানি করতে অবৈধভাবে আনা হচ্ছে ৮ থেকে ১০ ট্রাক সাইকেল। সেই সাথে গোপনে আমদানি করা হচ্ছে ফেনসিডিল। ভারত থেকে আমদানিকৃত হেরোইন প্রথমে সীমান্ত এলাকার ছিটমহলের পর মোটর সাইকেলে হেরোইন আমদানি হচ্ছে সৈয়দপুরে। এরা মোটর সাইকেল চুরিতেও অভিজ্ঞ বলে ওই সূত্রের অভিযোগ। এদের হাত থেকে রেহাই পায় না পুলিশের ব্যবহৃত মোটর সাইকেলও। ফলে সৈয়দপুরে মোটর সাইকেল চুরির মাত্রাও বেড়ে গেছে। এছাড়া ইয়াবা, বিভিন্ন ব্রান্ডে ট্যাবলেটসহ প্রায় প্রতিটি কনফেকশনারী ও মুদি দোকানে সরবরাহ চলছে বিভিন্ন ধরনের যৌন উত্তেজক পানিয়। যৌন উত্তেজক পানিয় তাৎনিক উপকার হলেও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সৃষ্টি হয় বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সূত্রের অভিযোগ, বর্তমান সরকার পুলিশকে সর্বাধিক মতা দেওয়ার কারণে তারা ইচ্ছা করেই অবৈধভাবে আমদানিকৃত পণ্য আটক করছেন না। তারা চোরাকারবারীদের সাথে সুকৌশলে মাসিক মোটা অংকের উপঢৌকন আদায় করায় ভারতীয় অবৈধ পণ্য আমদানি ও রফতানির রুট হিসাবে বেছে নিয়েছে সৈয়দপুরকে। এ শহরের মার্কেটগুলো ঘুরে দেখলে মনেই হবে না এটি ভারত না বাংলাদেশের অংশ।
শহর উন্নয়ন কমিটির যুগ্ম আহ্বাক ইয়াসিন আলী সরকার বলেন, সৈয়দপুর শহরকে মাদকমুক্ত করতে ও চোরাচালান বন্ধে শুধু পুলিশ প্রশাসনই নয় এর সাথে জনসাধারণকেও এগিয়ে আসতে হবে। জনসাধারণ প্রতিবাদী হয়ে উঠলে চোরাকারবারীদের ভেঙ্গে পড়বে শক্তিশালী নেটওয়ার্কগুলো। পুলিশ প্রশানসহ সাধারণ মানুষ সোচ্চার না হওয়ার দরুনই সৈয়দপুরে চোরাই পণ্য আমদানি বন্ধ হচ্ছে না বলে দাবি সুধিজনের।


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8434556600335339592

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item