ছিটমহলে শিশু জরিপ ঝরে পড়া শিশুর সংখ্যা ১৮০ জন
https://www.obolokon24.com/2015/08/kurigram.html
এস.কে.মামুন :
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে দেশের সর্ববৃহৎ ও সদ্য অন্তর্ভুক্ত ছিটমহল দাশিয়ারছড়ায় অধ্যয়নরত নয় এমন শিশুর সংখ্যা ১৮০ জন। সম্প্রতি উপজেলা শিক্ষা অফিসের ৬ দিনব্যাপি শূন্য থেকে ১৫ বছর বয়সের শিশু জরিপে দাশিয়ারছড়ায় এমনি তথ্য বেড়িয়ে এসেছে।
সরকারিভাবে নতুন বিদ্যালয় স্থাপন সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ করলে এ ছিটমহলে ১ টি মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার কথা। কিন্তু ইতিমধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কুড়িগ্রাম, বিদ্যালয়বিহীন গ্রামে ১৫০০ শ’ বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য মন্ত্রনালয়ে চিঠি দিয়েছেন।
যদিও ছিটমহলবাসীর দাবি আরও বেশি সংখ্যক বিদ্যালয় স্থাপনের। তারা ইতোমধ্যেই ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮টি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩টি মাদ্রাসার মিলে ২৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড স্থাপন করেছেন। অনেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিনশেড গৃহ নির্মাণসহ আসবাব পত্র তৈরি করে ফেলেছেন। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে দেশের সর্ববৃহৎ ও সদ্য অন্তর্ভুক্ত ছিটমহল দাশিয়ারছড়ায় অধ্যয়নরত নয় এমন শিশুর সংখ্যা ১৮০ জন। সম্প্রতি উপজেলা শিক্ষা অফিসের ৬ দিনব্যাপি শূন্য থেকে ১৫ বছর বয়সের শিশু জরিপে দাশিয়ারছড়ায় এমনি তথ্য বেড়িয়ে এসেছে।
সরকারিভাবে নতুন বিদ্যালয় স্থাপন সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ করলে এ ছিটমহলে ১ টি মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার কথা। কিন্তু ইতিমধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কুড়িগ্রাম, বিদ্যালয়বিহীন গ্রামে ১৫০০ শ’ বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য মন্ত্রনালয়ে চিঠি দিয়েছেন।
বিভিন্ন অনুসন্ধানে জানা গেছে, মূলত পূর্বের রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের অনুসরণে এখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো স্থাপন করা হয়েছে শিক্ষকতার চাকরি নেয়ার জন্য। কিন্তু জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দেয়া তথ্য মোতাবেক ১৫০০ শত বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় এখানে বিদ্যালয় স্থাপিত হলে বিদ্যালয় গুলোতে সরকারিভাবে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। সে ক্ষেত্রে ছিটমহলবাসীর চাকরি নেয়ার সুযোগ থাকবে না।
এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায় যে, তাদের উদ্যোগে ৪ থেকে ৯ আগষ্ট’১৫ পর্যন্ত বিলুপ্ত দাশিয়ারছড়া ছিটমহলে শিশু জরিপ কাজ অনুষ্ঠিত হয়। ৩ জন সুপারভাইজার ও ১২ জন গণনাকারী বাড়ি বাড়ি গিয়ে শূন্য থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুর তথ্য সংগ্রহ করেন। সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায় ৫ থেকে ১৫ বয়সী শিশু সংখ্যা মোট ১৫৬৫ জন। তার মধ্যে ১৩৮৫ জন শিশু পরিচয় গোপন করে ছিটমহলের চারিদিকে বাংলাদেশের বিদ্যালয়সমূহে অধ্যয়ন করছে। বর্তমানে অধ্যয়নরত নয় কিংবা ঝরে পরেছে ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সী এমন শিশুর সংখ্যা ১৮০।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার অধিকারী জানান, যে দাশিয়ারছড়ায় সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলো প্রতিষ্ঠিত হবে। তবে আমাদের একটি শিশু জরিপ করা হয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে তা প্রেরণ করেছি।