৪৪বছরেও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি নীলফামারীর ডোমার উপজেলা ও চিলাহাটিবাসীর

এ.আই.পলাশ ঃ দেশের মানুষ দেশ স্বাধীনের পর থেকে গোলামীর জিনজির খুলে ফেলে দিয়ে স্বাধীন দেশের সুখ শান্তির আলো বাতাস ভোগ করলেও শুধু রাজনীতির পালাবদলের ফাদে পড়ে ডোমার উপজেলা ও চিলাহাটির উন্নয়নের চাবিকাঠি চলে যায় বিরোধী দলের হাতে। এর মূল কারণ যে রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করে সেই দলের প্রার্থী ডোমার ডিমলার নির্বাচিত না হওয়ায় উন্নয়নের ছোয়া থেকে বঞ্চিত হয়। তবে বর্তমান সরকার এবারে ৫ই জানুয়ারী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার এই এলাকার এমপি নির্বাচিত হওয়ায় এলাকার মানুষ কিছুটা হলেও উন্নয়নের আলোর মুখ দেখতে পাবে বলে আশা করছে এলাকাবাসী।

এই ডোমার উপজেলাসহ চিলাহাটি এলাকায় প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের বড় বড় নেতাদেরও পদচারনা  রয়েছে। যেমন রাস্তা আছে সংস্কার নেই, প্রতিদিন এই ভাঙ্গাচুরা খাল খন্দেভরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ছোটবড় দুই একটি দুর্ঘটনা ঘটছেই। বিদ্যুতের লাইন আছে কিন্তু বিদ্যুৎ নেই, লোডশেডিং-এ জনজীবন অচল। কারণ একটু ঝড় বৃষ্টি হলেই দিনের পর দিন ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ দিলেই সরাসরি কর্মকর্তারা বলেন, ৬০ বছরের পুরোনো তার দিয়ে সংযোগ চলছে তাই বিদ্যুৎ পেতে দেরী হবে। দেশস্বাধীনের পর চিলাহাটি থেকে দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে ছয়টি ট্রেন চলাচল করত। বর্তমানে এই এলাকা থেকে ট্রেন চলছে মাত্র তিনটি। বাংলাদেশ ও ভারত যাওয়া আসার জন্য ইতিপূর্বে সরাসরি চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ী রেল স্টেশন ট্রেনে চেপে পাসপোর্ট ধারীরা যাওয়া আসা করত। বর্তমানে তাও বন্ধ রয়েছে। চিলাহাটি স্থলবন্দরের নির্দিষ্ট স্থানসহ প্রায় ১১ একর জমি ক্রকসহ প্রশাসনিক সবধরনের কাঠামো শেষ হলেও আশার প্রদীপ ধীরে ধীরে নীভে যাচ্ছে।  এর মুল কারণ  এলাকাবাসী আজও জানে না। থানা ও চিলাহাটিতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এবং  সীমান্ত রক্ষায় বিজিবি কোম্পানী সদর রয়েছে। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ অসংখ্য এনজিও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতি বছর চিলাহাটি এলাকায় অগ্নিকান্ডে কোটি কোটি টাকার সম্পদ পুরে যায়। এলাকাবাসী সেই দমকল বাহিনীর (ফায়ার সার্ভিস) অফিস স্থাপনের জন্য জমি ক্রয় করে সেই প্রতিষ্টানকে দানপত্র করে দিয়েছে। সেই ফায়ার সার্ভিস অফিসটি স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। হাসপাতাল আছে, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র আছে, কমিউনিটি কিনিক আছে নেই শুধু পর্যাপ্ত চিকিৎসক।আগের তুলনায় এলাকায় শিক্ষার হার বৃদ্ধিসহ ব্যাংক, বীমা, ছোটবড় আমদানী রপ্তানী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এত কিছু থাকার পরেও এলাকার মানুষের ভাগ্যের কোন প্রকার পরিবর্তন আসেনি। সরকারী খাদ্য শস্য মজুদের জন্য এলাকায় এলএসডি গুদাম রয়েছে। চিলাহাটি রেলস্টেশনের সংস্কার হয়েছে অত্যাধুনিক। অপরদিকে সরকারী যেকোন দপ্তর বাস্তবায়নের লক্ষে শত শত বিঘা খাস জমি রয়েছে চিলাহাটি সহ পার্শবর্তী কেতকীবাড়ী ইউনিয়ন এলাকায়। এলাকার মানুষ বর্তমান সরকারের কাছে দাবী করছে চিলাহাটিকে উপজেলায় বাস্তবায়ন করা। আজ এতকিছু উপলব্ধি করার পরেও এই এলাকায় ডিজিটাল বাংলাদেশের আলোর দৃষ্টি কোনে কিছুটা উন্নয় হলেও সেই উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। রাজনীতির ব্যাপারে বলতে গেলে নীলফামারী জেলার পরের স্থানটি চিলাহাটি। এই চিলাহাটি দেশ স্বাধীনের পূর্বে দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলের বড় বড় ব্যবসায়ীরা এখানে এসে তাদের ব্যবসার স্থান হিসেবে অবস্থান নিয়েছিলে। বর্তমান সরকার চিলাহাটি স্থলবন্দর বাস্তবায়সহ পাসপোর্ট যাত্রীদের জন্য পূর্বের সেই রাস্তাটি খুলে দিলে বিশেষ করে বাংলাদেশ সরকার এই এলাকা থেকে বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় করবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7636945127412396668

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item