৩০ বছরের ঐতিহ্য বিলিণ চিলাহাটি বাসীর প্রশ্ন সপ্তর্ষী ক্রীড়া চক্রের ধংসের মুল হোতা কে?

এ.আই. পলাশ ঃ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের চিলাহাটি রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিনোদন, শিক্ষা, সাংস্কৃতিসহ এলাকার দুঃখী মানুষদের হাতবাড়িয়ে দেওয়া সেই ঐতিহ্যবাহী বিনোদনের সপ্তর্ষী ক্রীড়া চক্রটি আজ ধংসের শেষ প্রান্তে এসে দাড়িয়েছে, দীর্ঘ ৩০ বছর পূর্বে এলাকার যে কোন খেলাধুলা, বয়স্কদের শিক্ষা, গরীব ছেলেমেদের লেখাপড়ায় সাহায্য সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার এই সংস্থাটি আজ ১৫ বছর যাবত শুধু অবহেলার কারণে ধংসের শেষ প্রান্তে এসে দাড়িছে।
সংস্থার কক্ষগুলো আজ গণশৌচাগারে পরিনত হয়েছে। এলাকার সচেতন মানুষের প্রশ্ন কি কারণে ১৫ বছর যাবত এই সরকারী রেজিষ্ট্রেশনকৃত প্রতি বছরের অনুদান প্রাপ্ত কাবটি অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থেকে ধংসের দিকে এগিয়ে যাওয়ার মুল কারণ কী? জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের চিলাহাটি রেল স্টেশন এলাকায় ১৯৮৫ইং সালে ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের বেশ কিছু সচেতন ব্যাক্তি ও শিক্ষিত তরুণদের নিয়ে এলাকায় বিনোদনের জন্য প্রতিষ্ঠিত করেন চিলাহাটি সপ্তর্ষী ক্রীড়া চক্র। হাটি হাটি পাপা করে এই সংস্থাটি ডোমার উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়মুলক কর্মকান্ডে সুনাম অর্জ করায় ১৯৯১ ইং সালে এই কাবটি রেজিষ্ট্রেশন লাভ করে যাহার নং- নীল/ডোম-১৪০/৯১ এবং প্রতিবছর সরকারী অনুদানের খাতায় এই সপ্তর্ষী ক্রীড়া চক্রের নাম আজও রয়েছে। ১৪০ জন সদস্য নিয়ে এই কাবটি যাত্রা শুরু করে। এলাকায় খেলাধুলা শিক্ষা সংস্কৃতি গরীব মেধবী ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্য সহ এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজে প্রথম স্থান দখল করতেন এই কাবটি।সন্ধার পর এই কাবে বয়ষ্কেদের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাও ছিল।  বিশেষ করে বিকেল হলেই এই কাবে দুরদুরান্ত থেকে  বেশ কিছু প্রবীন ব্যাক্তিরা এখানে এসে পেপার পত্রিকা পড়ত। দীর্ঘ দিন এই কাবটিতে নির্বাচন না হওয়ায় সদস্যদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে সেই সময়ের  কাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তিরা তরিঘড়ি করে নির্বাচন দেন।শুরু হয় কাব চত্তরে প্রতিদিন শতশত ব্যাক্তির আনা গোনায় মুখরিত হয়ে ওঠে কাব চত্তর। অবশেষে নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে নির্বাচিত হওয়ার পর সেই পূর্বের নির্বাচান পরিচালনার সদস্যগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দায়িত্ব প্রদান না করে গায়ের জোড়ে তারাই এই কাবটি পরিচালনা করতে শুরু করে। সেই থেকে শুরু হয় সাধারণ সদস্যদের মধ্যে কুন্দল। আজ সেই কোলাহল পুর্ণ কাবটির প্রতি কোন সদ্যস্যরই দৃষ্টি নেই। সেই কারণেই আজ গণশৌচাগারে পরিনত হয়েছে। সরকারী অনুদানের বহু মালামাল ছিল দুস্থ পরিবারকে সাবলম্বী করার জন্য সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে এই কাবে অনুদান সহ বেশ কয়েকটি সেলাই ম্যাশিন প্রদান করা হয়। আজ সেই মালামালের কোন হদিস নেই। এলাকার সচেতন মানুষের প্রশ্ন, কী কারণে একটি সুন্দর পরিবেশের উন্নয়নের বাহক প্রতিষ্ঠানটি ধংসের শেষ প্রান্তে এবং প্রতি বছরের সরকারী অনুদানের টাকা কোথায় যায়? এব্যাপারে এলাকাবাসী স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন সচেতন ব্যাক্তিরা।

পুরোনো সংবাদ

শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি 7657349998108492585

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item