মামলা তুলে নিতে বাদিনীকে গুমের হুমকি মহানগরীর কাশেম বাজারে ধর্ষক হৃদয় ও সহযোগী দুর্বৃত্তরা পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে

হাজী মারুফ রংপুর বুরে‌্যা অফিস :
রংপুর মহানগরীর কাশেম বাজার-জলকরিয়া এলাকার আলোচিত ধর্ষণ ঘটনার প্রায় দু’ মাস পেরিয়ে গেলেও আলালের ঘরের দুলাল প্রভাবশালীর লম্পটপুত্র রকিবুল ইসলাম হৃদয়সহ তার সহযোগী অপরাপর আসামীরা পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর এ সুযোগে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ানো বেপরোয়া দুর্বৃত্তরা ও তাদের লেলিয়ে দেয়া ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা ধর্ষিতা বাদিনীকে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শণসহ তাকে অপহরণ করে গুম করার হুমকি ধমকি অব্যাহত রেখেছে।

মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রংপুর কোতয়ালী থানাধীন সিটি কর্পোরেশন এলাকার ১২নং ওয়ার্ডের শ্যামপুর রোডস্থ কাশেম বাজারে শ্রীরামপুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের পুত্র রুহুল আমিন “রুহুল হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট” নামকরনে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। স্ত্রী রনজিনা স্বামী রুহুলের ব্যবসায়ে সহযোগিতা করে আসতো। ঘটনার দিন চলতি বছরের ১ জুন রাত ১১টার দিকে হোটেলের বেচাবিক্রি শেষে প্রতি রাতের ন্যয় রুহুল স্ত্রী রনজিনাকে দোকানে রেখে মহাজনের কাছে বকেয়া টাকা পরিশোধের জন্য যায়। এ সময় চন্দনপাট ইউপি’র শফিউর রহমান শফির ছেলে রকিবুল ইসলাম (২২),রংপুর সিটিকর্পোরেশনভুক্ত ১২ নং ওয়ার্ডের আবু বক্কর হাজীর ছেলে শরিফুল ইসলাম(৩২) ও মহুবার রহমান হাজীর ছেলে পারভেজ(২২) হোটেলের দরজা ঠেলিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে রঞ্জিনার নিকট  খাবার চায়।রঞ্জিনা তাদের খাবার শেষ হয়েছে  বললে তাঁরা তেঁড়ে গিয়ে রঞ্জিনাকে বলে খাবার দে নয়ত ইজ্জত দে।এরপর কোমর থেকে চাকু,চাপাতি বের করে রঞ্জিনার গলায় লাগিয়ে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে হোটেলের ক্যাশ বাক্সের ডয়ার খুলে রঞ্জিনা ও তার স্বামী রুহুল আমিনের ব্যবসায়িক প্রয়োজনে স্বাক্ষরিত কয়েকটি অলিখিত নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও কয়েকটি স্বাক্ষরিত পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ হিসাব-নিকাশের কাগজ পত্র বের করে নিয়ে পকেটে ঢুকিয়ে সহযোগী ২ জনকে হোটেলের দরজায় পাহারা রেখে রকিবুল রঞ্জিনাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করেন।এসময় তার আতœচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে রকিবুল ও তার সহযোগীরা রঞ্জিনাকে প্রানে মারার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এঘটনাটি জানাজানি হয়ে পড়লে স্থনীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিগন দফায় দফায় বৈঠক করে সমাধানের চেষ্টা করতে ব্যর্থ হয়। এদিকে ধর্ষনের ঘটনায় রনজিনাকে তার স্বামী বাড়ী থেকে বের করে দিলে সে তার বাবা রবিউল ইসলাম মা লতিফা বেগমের বাড়ী রংপুর নগরীর রবাটসনগঞ্জ পানির ট্যাংকি সংলগ্ন এলাকায় চলে আসেন।
 পিতার বাড়িতে এসে বাধ্য হয়ে রঞ্জিনা বাদী হয়ে রংপুর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে ২০০০সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন(সংশোধনী২০০৩) এর(১)/৩০ ধারায় ৩ জনকে আসামী করে গত ১০ জুন একটি এজাহার দায়ের করেন।যার পিটিশন মামলা নং-৮২/২০১৫ ইং। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
 এদিকে মামলা দায়েরের পর আসামী ও তার সহযোগী সন্ত্রসীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য রনজিনাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি হুমকী প্রদানসহ তার বাবার বাড়ীর আশে-পাশে ঘুরাঘুরি করতে থাকেন।ঘটনার দিন গত ৯ জুন রনজিনা দুপুর সোয়া ২টায় মোবাইলে ফ্লেক্সি লোড দেয়ার জন্য রবাটসনগঞ্জ মন্ডল পাড়ায় গেলে উল্লেখিত আসামীগনসহ ৫/৬ জন অঞ্জাতনামা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা ৩/৪টি মোটরসাইকেল যোগে এসে ফ্লিমি স্টাইলে রনজিনাকে আটক করে অপহরন করার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি ছুরি চাকু গলায় লাগিয়ে দিয়ে ৪টি ফাকা নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পকেট থেকে বের করে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নেন।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 7722799902408127996

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item