জলঢাকা সেতু ভেঙে ট্রাক নদীতে। আহত তিন ডোমার-ডিমলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ
https://www.obolokon24.com/2015/07/jaldhaka_24.html
মর্জুজা ইসলাম,জলঢাকা, নীলফামারী প্রতিনিধি এবং আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টারঃ
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা শহরের অদুরে ডোমার-ডিমলা সড়কে আউলিয়াখানা নদীর ওপর লোহার সেতুটি বিধ্বস্ত হয়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে ওই সড়কে।
গত বৃহস্পতিার রাত ১০টার দিকে ওই সেতুটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় বালি বোঝাই একটি ট্রাক ও একটি মোটরসাইকেল নদীতে পড়ে ট্রাক চালক ইয়াকুব আলী (৪০) ও সহকারী রাসেল (৩৫) এবং মোটরসাইকেল আরোহী সুমন (২৮) আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে জলঢাকা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা শহরের অদুরে ডোমার-ডিমলা সড়কে আউলিয়াখানা নদীর ওপর লোহার সেতুটি বিধ্বস্ত হয়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে ওই সড়কে।
গত বৃহস্পতিার রাত ১০টার দিকে ওই সেতুটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় বালি বোঝাই একটি ট্রাক ও একটি মোটরসাইকেল নদীতে পড়ে ট্রাক চালক ইয়াকুব আলী (৪০) ও সহকারী রাসেল (৩৫) এবং মোটরসাইকেল আরোহী সুমন (২৮) আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে জলঢাকা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ট্রাক চালক ও সহকারির বাড়ি পাবনা জেলায় এবং মোটরসাইকেল আরোহীর বাড়ি জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের শালনগ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্মীরা জানায়, বালি ভর্তি ট্রাকটি রাত ১০টার দিকে ওই সেতুতে উঠলে বিধস্ত হয়ে ট্রাকটি নদীতে পড়ে। এসময় ট্রাকের পেছেনে থাকা মোটরসাইকেল নদীতে পড়ে যায়। ট্রাকটি পঞ্চগড় থেকে ওই পথে পাবনা যাচ্ছিল।
আহত মোটরসাইকেল আরোহী সুমন বলেন, ব্যবসায়ীক কাজে রাত ১০টার দিকে উপজেলা শহরে ঢোকার পথে সামনে একটি ট্রাক পাই। বালু বোঝাই ট্রাকটি সেতুতে ওঠার সাথে সাথেই দুমরে মুচরে সেতুটি বিধ্বস্ত হয়ে ট্রাক নদীতে পড়ে। আমিও মোটরসাইকেল সহ নদীতে পড়ে যাই।
ট্রাকের চালক ইয়াকুব আলী বলেন, আমি পঞ্চগড় থেকে ২০ থেকে ২৫ টন বালু নিয়ে পাবনা যাচ্ছিলাম। এসময় ওই লোহার সেতুতে ওঠার পর পরই সেতু বিধ্বস্ত হয়ে ট্রাকসহ নদীতে পড়ে যাই।
দূর্ঘটনার পর নীলফামারী-৩ (জলঢাকা-কিশোরগঞ্জ আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেন। এছাড়া ওই রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রশীদ, নীলফামারী সড়ক যোগাযোগ ও সেতু বিভাগের নির্বাাহী প্রকৌশলী তানভির সিদ্দিকী, জলঢাকা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর, পৌর মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু।
জলঢাকা উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসক সামসুর রহমান বলেন, আহত তিনজনই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ওই রাতেই চলে গেছেন। জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলওয়ার হাসান ইনাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এব্যাপারে নীলফামারী সড়ক যোগাযোগ ও সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর সিদ্দিকী বলেন, সেতুটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় পাঁচ টনের অধিক মালামাল পরিবহনে নিয়েধাজ্ঞা জারি করে সেতুর দুই দিকে সাইনবোর্ড টাঙ্গাানো হয়েছিল। কিন্তু কেউ নিষেধাজ্ঞা মানতে চায় না। প্রায় ৪০ টন মালামাল নিয়ে সেতুর ওপর ট্রাক ওঠার কারনে বিধ্বস্ত হয়েছে।
সেতুটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, মেরামতের উপযোগি হলে মেরামত করা হবে। না হলে অন্য স্থান থেকে লোহার সেতু এনে সেখানে স্থাপন করা হবে। এতে সময় লাগবে প্রায় ১৫দিন।
তিনি বলেন, সেখানে স্থায়ী সেতু করার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। ৩০ মিটারের ওই সেতু নির্মানে খরচ হবে প্রায় চার কোটি টাকা। অনুমোদন পাওয়া গেলে দ্রুত দরপত্র আহবান করা যাবে।
নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, সেখানে স্থায়ী সেতু করার ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ অব্যহত রেখেছি। আর সড়কটি চালু করতে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালের বন্যায় ওই নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি ক্ষতিগ্রস্থ হলে সেখানে একটি অস্থায়ী লোহার সেতু স্থাপন করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এরপর ওই পথে যান চলাচলে ১৯৯১ সালের ২৫ জুন সন্ধ্যায় একটি যাত্রীবাহি বাস নদীতে পড়ে ২৭ জনের মৃত্যু ঘটে। দীর্ঘদিনেও সেতুটি নির্মিত না হওয়ায় প্রায় সময়েই ঘটছে দূর্ঘটনা। নরবরে ওই সেতুটি চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল যান চলাচলের অযোগ্য ঘোষণা করে সেটি মেরামত করে সাত দিন পর পুণরায় যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলেও গত বৃহস্পতিবার রাতে ভেঙে পড়ে ওই দূর্ঘটনা ঘটে।