বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবন্ধীর কন্যার সাথে প্রতারণা

এ.আই. পলাশ- দীর্ঘ তিন বছর ধরে  এক লম্পট একই এলাকার প্রতিবন্ধীর কন্যার সাথে প্রেমের অভিনয় করে তার সর্বস্ব লুটে নিয়ে সেই লম্পটের ভগ্নিপতিসহ প্রকাশ্য দিবালোকে সেই মেয়েকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অন্যত্র সরিয়েরেখে আবারো সেই মেয়েকে প্রতিবন্ধী পিতার বাড়িতে ঢকিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হয়।

অবশেষে সেই প্রতিবন্ধীর কন্যাটি লম্পট প্রেমিকের ভগ্নিপতির বাড়িতে ন্যায্য বিচারের আশায় আশ্রয় নেয়। বর্তমানে এলাকায় এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ন্যায্য বিচারের আশায় এলাকার মানুষ এই লম্পট প্রতারক ও প্রভাবশালী যুবকের বিচার দাবী করছে। জানা গেছে , নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের ৯নং ওয়াডের তেলীপাড়া এলাকার প্রতিবন্ধী মঙ্গুলুর কন্যা মির্জাগঞ্জ হাই স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্রী  (১৪) এর সঙ্গে এই এলাকার প্রভাব শালী ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেন (ঢোল) এর লম্পট পুত্র জিল্লুর রহমান (১৫) দীর্ঘ তিন বছর যাবত মন দেয়া নেয়া চালিয়ে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে প্রতিবন্ধী মঙ্গুলুর স্ত্রী হ্যাপি বেগম অসুস্থ হলে ইতি পূর্বে তাকে ডোমার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সুযোগে লম্পট জিল্লুর মেয়েটির বাড়িতে প্রবেশ করে প্রেমের জালে ফাসিয়ে তার সাথে অবৈধ মেলা মেশার সময় লম্পট জিল্লুরের মা ও এলাকাবাসী হাতে নাতে ধরে ফেলে। ঠিক একই ঘটনা আরো দুইবার ঘটিয়েছিল এই লম্পট। লম্পট জিল্লুরের পিতা প্রভাবশালী ইউপি সদস্য হওয়ায় ন্যায়্য বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল প্রতিবন্ধী মঙ্গুলুর পরিবার। অবশেষে এই গরীব পরিবারটি ন্যায্য বিচার না পেয়ে তার কন্যার বিয়ে অন্যত্র ঠিক করে। কিন্তু লম্পট জিল্লুর ও তার ভগ্নিপতি রুবেল  বিয়ের পূর্বেই গত ২১শে জুলাই ২০১৫ইং রাতে  মেয়েটিকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার তিন দিন পর গত ২৪শে জুলাই এই দুই লম্পট পুনরায় প্রতিবন্ধী মঙ্গুলুর বাড়িতে মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী মেয়েটিকে লম্পট জিল্লুরের ভগ্নিপতির রুবেলের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে এলাকার মানুষ এই প্রতিবন্ধীর মেয়েটির ন্যায্য বিচার দাবী করায় চিলাহাটি প্রেসকাবের সাংবাদিকরা ঘটনা স্থলে গিয়ে মেয়ের স্বীকারোক্তি, লম্পট ছেলের পিতা মোশারফ হোসেন ঢোল মেম্বার ও এলাকাসীর সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে আসল ঘটনাটি প্রকাশ পায়। এই সংবাদটি লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।