ফলোআপঃদুনীতির সংবাদ প্রকাশ করায় ২০ জন দুস্থ মহিলার দুর্বিসহ কর্মজীবন

এ.আই পলাশ ঃ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের ২০ জন দুস্থ গরীব মহিলার রাস্তার কাজের মুজুরী সংক্রান্ত দুনীতির সংবাদ প্রকাশ করায় আজ তাদের কর্মজীবনে নেমে এসেছে অনিয়মের ভয়াল কালো ছায়া। এই ২০ জন মহিলাকে সারাদিন মাইলের পর মাইল হেটে নিয়ে কখনো ভোগডাবুড়ী কখনো গোমনাতী আবার আবার কখনো বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাদেরকে নাঝেহাল করার চেষ্ট চালালিয়ে যাচ্ছে। আর এই ঘটনা গুলোর মুল হোতা (এল.সি.এস) এলজিডির সুপার ভাইজার নাজমুল ইসলাম লিমন। লিমনরে বৈশিষ্ঠ্য হচ্ছে তিনি তার উর্ধতন কর্মকর্তাদের বাসায় কাজের মেয়ে জোগার করে দিয়ে উক্ত প্রজেক্টে নিয়োগ নিয়ে তিনি এই কার্যকলাপগুলো চালাচ্ছেন।
লিমন(এল.সি.এস) এলজিডির সুপার ভাইজার হয়েও রুরাল এমপ্ল্যামেন্ট এন্ড রোড মেইনট্রান্স প্রোগ্রাম (আর.ই.আর.এম.পি)-২ প্রোগ্রামে (ডোমার) নিয়োজিত । সেই সুযোগে উর্ধতন কর্মকর্তাদের মন যুগিয়ে রেখে ডোমার উপজেলার দশটি ইউনিয়নের কেয়ারের রাস্তার কাজের ১৯৮ জন দুস্থ মহিলা কর্মীর কাজ দেখা শোনা করেন। বিনিময়ে প্রত্যেক মহিলা কর্মীর নিকট হতে প্রত্যেক মাসে বেতনের টাকা থেকে ২০০থেকে ২৫০ টাকা উৎকোচ নিয়ে থাকেন। তাকে এ কাজে সাহায্য করেন, আর.ই.আর.এম.পি-১ প্রোগ্রামের ফ্যাসিলেটেটর সুশিল কুমার সেন।
গ্রামাঞ্চলের শত শত মহিলা পেটের দায়ে পরিবারের ছেলে মেয়েদের মুখে অন্ন যোগান দেওয়ার জন্য স্বামীর পাশাপাশি সংসারের হাল ধরার চেষ্ট চালিয়ে যাচ্ছে। এরই কারণে আজ গ্রামাঞ্চলের মাঠে ঘাটে মহিলা শ্রমিকদের সংখ্যা বেশি এর মুল কারণ মহিলা মুজুরীর টাকা কম এবং কাজ করেও বেশি। সেই মাটি কাটার কাজ করেও একটু শান্তি মিলছেনা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জন্য। সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কাছে আজ ১৯৮ জন দুস্থ মহিলা কেয়ার প্রোজেক্টে মাটি কাটার কাজ করেও  মাস শেষে ঘুষ না দিলে তাদের বেতন থেকে ঘুষের টাকা কর্তনের পর কর্মজীবি মহিলাদের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে গত ১৫ জুলাই ২০১৫ইং অনলাইন পত্রিকা অবলোকনে এই কর্মজীবি মহিলাগুলোর জন জীবন নিয়ে একটি দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত হলে, দুর্নীতিবাজ (এলসিএস) এল.জি.ইডি’র সুপার ভাইজার নাজিমুল ইসলাম লিমন এই মহিলাগুলোকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজের পর তাদেরকে রাস্তার কাজের চাকুরী চ্যুত করার হুমকি প্রদান করেন। 
জানা গেছে, ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের সরকার পাড়া বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন কেয়ারের অধিনে কাচা রাস্তায় মাটি ফেলে সংস্কারের কাজ করছিল ২০জন দুস্থ মহিলার সেই কাজের চিত্রটি ধারণ করতে গেলে এই অসহায় মহিলাগুলো তাদের রাস্তায় কাজ করা জিম্মি দশার চিত্রটি তুলে ধরেন স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে। অনেকেই দুর্নীতিবাজ ও হুমকি দাতার কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন। এ ব্যাপারে উক্ত দুস্থ মহিলা টিমের সভাপতি এস্তেনুর (৪০) বলেন, আমাদের এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার গণ কোনপ্রকার  উৎকোচ ছাড়াই  আমাদের চাকুরী দিয়েছে কেয়ারের মাধ্যমে। প্রতিটি মহিলা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তার বিনিময়ে প্রতি মাসে ৪৫০০ টাকা বেতন পাই, এর মধ্যে আমাদের প্রতিটি ব্যাক্তির ব্যাংক একান্টে ১৫০০ টাকা জমা রেখে বাকি তিন হাজার টাকা প্রতিমাসে এই কাজের কেয়ার এনজিও কর্তৃক সুপারভাইজার মোঃ নাজিমুল ইসলাম লিমন প্রতিমাসে বেতনের সময় আমাদের কাছ থেকে জন প্রতি ২০০ থেকে২৫০ টাকা উৎকোচের টাকা কেটে বাকী টাকা প্রদান করে। এব্যাপারে আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদেরকে  মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কাজের তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার হুমকি প্রদান এবং কাজ করার নাম করে বিভিন্ন এলাকায়  নিয়ে যাওয়া হয়। আজ পর্যন্ত এই দুস্থ মহিলা গণ তাদের নিজ নিজ ব্যাংক একাইন্ট নম্বর ও জানেন না। সুপার ভাইজার লিমনের দুর্নীতির সীমা এখানেই শেষ নয়। কোন মহিলার পারিবারিক অসুবিধা দেখা দিলে টাকা ছাড়া তাদের কপালে ছুটি জোটে না।একইভাবে  ডোমার উপজেলার ১৯৮ জন দুস্থ মহিলা আজ এই দুর্নীতিবাজ কেয়ার সুপার ভাইজার এর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাই তারা এই জিম্মি দশা থেকে বাঁচার জন্যই উর্ধতন কর্মকর্তার নেক দৃষ্টি কামনার লক্ষ্যে স্থানীয় সাংবাদিকদের তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছিলেন। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 1206368696183757238

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item