রংপুর জেলে বন্দিদের আটক করে মিথ্যা মামলায় জড়ানো বিষয়ে মানবাধিকার কমিশনের উদ্বেগ প্রকাশ

হাজী মারুফ রংপুর ব্যুরো ॥
বাংলাদেশ  মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড, মিজানুর রহমান রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে অনেক বন্দিকে আটক করে মিথ্যা মামলায় জড়ানো, নির্যাতনের মাধ্যমে পুলিশ স্বীকারোক্তি আদায় এবং কাগজপত্র জাল করে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর বিষয়ে উদ্বোগ প্রকাশ করেছেন। তিনি এসব ঘটনাকে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ও উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নেকলিজেন্স  আখ্যায়িত করে বলেন, কারাকারে অমানবিক কর্মকান্ড কোন ভাবেই সমর্থন যোগ্য হতে পারেনা। তিনি বলেন, আটক বন্দিদের অনেককেই গ্রেফতার করার পর আইনজীবীর সাথে কথা বলতে দেয়া হয়নি।
কোন ব্যাক্তি আইনজিবী নিয়োগ ও তাদের সাথে কথা বলতে না পারার বিষয়টিকে পুরো বিচার প্রক্রিয়াটি বাতিল বলে মনে করেন তিনি। বৃহসপতিবার দুপুরে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে এসে কারা ফটকের সামনে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কারাগারে বন্দিদের থাকার বিষয়টিকে অমানবিক উল্লেখ কওে বলেন, রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারটি অনেক প্রাচীন, অবকাঠোমোর বেশীর ভাগ অংশ ও হাসপাতালটিও অনেক আগে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তার পরেও বন্দিদের সেখানে রাখা হচ্ছে। তিনি এও বলেন, রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের ধারন মতা ১ হাজার ১’শ হলেও এখন সেখানে ১ হাজার ৯৬৯ জন বন্দি রয়েছেন। এ ভাবে অমানবিক ভাবে কাউকে আটক রাখা যায়না বলে মন্তব্য করে এ ব্যাাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। 
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি আগের চাইতে এখন ভালো। কারণ এর আগে গত ৩ মাসে আন্দোলনের নামে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা বাসে ট্রেনে আগন দেয়া সহ যে আরাজক পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিলো। সেই পরিস্থিতি সরকার ভালো ভাবে মোকাবেলা করে দেশে একটা শান্তিপুর্ন অবস্থা তৈরি করতে পেরেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। 
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে দু’জন বিদেশী বন্দি আটক আছে। এরা দুজনই ভারতীয় নাগরিক। আইনী জটিলতার কারণে তাদের সাজার মেয়াদ শেষ হবার পরেও ৩ বছর ধরে আটক আছে। শুধুমাত্র এ ব্যাাপারে তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবার দাবি জানান। তিনি নিজেও ভারতের মানবাধিকার কমিশনের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদপে নেবেন বলে জানান। 
ড, মিজানুর রহমান বলেন, রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে  বেশ কয়েকজন বন্দি ২০ বছরেও বেশি সময় ধরে আটক আছেন। এসব বন্দিদের সাধারণ মার আওতায় এনে তাদের দ্রুত মুক্তি দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। 
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তিনি রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছলে তাকে কারাগারের উর্ধতন কর্মকর্তারা স্বাগত জানান। তিনি কারা পুলিশের একটি চৌকস দলের সালাম গ্রহণ করেন। এরপর তিনি কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন করেন। এক ঘন্টা ব্যাপি পরিদর্শন কালে তিনি বন্দিদের সাথে কথা বলেন তাদের সমস্যার কথা শোনেন । এসময় উপস্থিত ছিলেন, রংপুর কেন্দ্রীয় কারগারের ডিআইজি প্রিজন প্রাণ গোপাল বণিক, সিনিয়র জেল সুপার রতœা রায়, জেলার আব্দুল কুদ্দুস প্রমূখ।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 4501631109335736965

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item