সৈয়দপুরে স,প্রা,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ
সৈয়দপুর উপজেলার এক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগ মিলেছে। নিজ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাস না নিয়েও বেতন আদায়, শিক্ষকদের এক বিদ্যালয় থেকে অন্য বিদ্যালয়ে বদলী বাণিজ্য ও সদ্য সরকারের দেয়া প্রতিষ্ঠানে ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় বাবদ ৩০ হাজার বরাদ্দের টাকা আত্মসাত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। গত রবিবার উপজেলার সিপাইগঞ্জ বাজার সংলগ্ন তিনপাই দুই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, বিদ্যালয় কমিটির লোকজন সহ এলাকাবাসী এসব অভিযোগ করেন। 

এলাকাবাসী জানায়, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে শতভাগ শিক্ষিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ কারনে তিনি শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই বিতরণ ও উপবৃত্তি প্রদান করেছেন। শিক্ষা খাতে যাতে কোন দুর্নীতি না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টিও রেখেছেন তিনি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ মিললে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রী, এমপিদেরও কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টা ও নির্দেশকে তোয়াক্কা করছেন না উপজেলার সিপাইগঞ্জ বাজার সংলগ্ন তিনপাই দুই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খোকন। 
রতন নামের এক ব্যক্তি জানান প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাছেদ মোঃ হামিদুজ্জামান খোকন আসলেই একজন জিনের বাদশা। কখন বিদ্যালয়ে আসেন এবং কখন যে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন তা কেউই দেখতে পাননা। অথচ বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় তার স্বাক্ষর থাকে ঠিকই। শিক্ষার্থীদের কাস না নিয়ে শুধু হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই তিনি প্রায় দেড় বছর থেকে মাসিক বেতন উত্তোলন করে চলেছেন। 
আবু তাহের নামের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানায় প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাছেদ মোঃ হামিদুজ্জামান খোকন মাসে ৩ দিনও বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না। তিনি উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এক বিদ্যালয় থেকে অন্য বিদ্যালয়ে বদলীর জন্য তদবীর কাজে ব্যস্ত থাকেন। গত দেড় বছরে একাধিক শিক্ষককে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারা প্রায় ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ আইনুল হক জানান, কমিটির সভাপতি আব্দুল গফুর একজন সহজ সরল মানুষ। এ কারনে প্রধান শিক্ষক খোকন মাসে ২/৩টি কাসও নেন না। এছাড়া সম্প্রতি ওই প্রতিষ্ঠানে খেলাধূলা, পড়াশুনা স্কাউট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনায় ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয়বাবদ সরকার ৩০ হাজার টাকা প্রদান করলে সেটিও ওই শিক্ষক আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। কমিটির সভাপতি আব্দুল গফুর বলেন, এ ব্যাপারে তার বলার কিছুই নেই। এলাকাবাসী যা বলছেন তার সবগুলই সত্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক খোকনের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে এ ব্যাপারে কোন কথাই বলবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। উল্লেখিত অভিযোগের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 6330292789682057375

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item