রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগ নির্নয় করার বেশ কিছু যন্ত্রপাতি নষ্ট শত শত রোগী বিপাকে

হাজী মারুফ রংপুর বুরে‌্যা অফিস : 

॥ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগ নির্নয় করার বেশ কিছু যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে য়াওয়ার কারনে এখানে চিকিৎসা নিতে আসা শত শত রোগী বিপাকে পড়েছে।
রংপুর বিভাগের, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁ ও পঞ্চগড় জেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন শত শত রোগী এখানে আসে চিকিৎসা সেবা নিতে।

কিন্ত হাসপাতালে রোগ নির্নয়ের যন্তপাতিগুলো নষ্ট থাকার কারনে এখানে ভর্তি রোগীরা কাংখিত সেবা পাচ্ছে না।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে য়ে ২ টি এম আর আই মেশিন রয়েছে তা গত ৬ মাস ধরে নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে। এর মধ্যে দশমিক ৩ পেচলা এম আর আই মেশিনটি গত ৬ মাস ধরে ও অপরটি ১.৫ পেচলা গত ২ মাস ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। 
প্রতিদিন এই এম আর আই মেশিন দুটি থেকে প্রায় ৪০ জন রোগীর এম আর আই কারা হয়।হাসপাতালে একজন রোগীর এম আর আই করতে খরচ পড়ে ৩ হাজার টাকা।
বাহির থেকে রোগীদের এম আর আই করতে খরচ পড়ে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। রংপুরের বিভিন্ন বেসরকারী  হাসপাতাল এম আর আই করে থাকেন।
অপরদিকে হাসপাতালে ২ টি সিটি স্কান মেশিন থাকলেও একটি ৫ বছর ধরে ও অপরটি গত ২ মাস ধরে অচল আবস্থায় পড়ে আছে। এই সিটি স্কান মেশিন দুটি চালু থাকা অবস্থায় গড়ে ৩০ থেকে ৪০ জন রোগীর সিটি স্কান কারা হত।
হাসপাতালে এক জন রোগীকে সিটি স্কান করতে হলে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা হাসপাতালের কোষাকারে জমা দিতে হয়। আর বাহিরে করতে হলে একজন রোগীকে এর দ্বিগুন দামে সিটি স্কান করতে হয়।
কবে নাগাদ এম আর আই ও সিটি স্কান মেশিন গুলো ভাল হবে তা হাসপাতালের কোন কর্মকর্তাই বলতে পারছে না। তারা জানান, এম আর আই ও সিটি স্কান মেশিন ভাল করার জন্য অসংখ্যবার স্বাস্থ্য মন্ত্রি, স্বাস্থ্য সচিব এমনকি প্রধান মন্ত্রির দপ্তরে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে কিন্ত আজ পর্যন্ত এর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কি কারনে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা তা কেউই বলেতে পারছে না।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলা সদরের রোগী রেশমা আফরিন জানান, তার হাটুতে ব্যাথার কারনে হাসপাতালের ডাক্তার তাকে এম আর আই করতে দিয়েছেন। কিন্তু এখানকার মেশিন দুটি নষ্ট থাকার কারনে বাহির থেকে ৮ হাজার টাকা দিয়ে তাকে এম আর আই করতে হয়েছে বলে জানান তিনি।
হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি তারিক জানান, তাকে ডাক্তার সিটি স্কান করার জন্য বলেছেন। হাসপাতালের সিটি স্কান মেশিন নষ্ট থাকার কারনে ৫ হাজার টাকা দিয়ে বাহির থেকে করতে হয়েছে।
মেশিনগুলো নষ্ট থাকার কারনে এই অঞ্চলের শত শত গরীব রোগী চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
হাসপাতালের ভার প্রাপ্ত পরিচালক বিমল কুমার বর্মন জানান, এম আর আই ও সিটি স্কান মেশিন দুটো ভাল করার জন্য একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কবে নাগাদ এগুলো ভাল হবে তা কেইউ বলতে পারছে না বলে জানান তিনি।

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 6797489069946166883

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item