সৈয়দপুরে ভুয়া সনদে শিক্ষকের চাকুরী নেওয়ার অভিযোগ

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি-
সৈয়দপুরে আজিজুল ইসলামের নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকুরী নেওয়ার অভিযোগ মিলেছে। গতকাল এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলা সোনাখুলি পশ্চিম বেলপুকুর এলাকার মৃত কাজী সোলায়মানের ছেলে কাজী হারুনুর রশিদ। জাল সার্টিফিকেট নিয়ে চাকুরী নেওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা সাতপাই উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে।

অভিযোগে জানা যায়, ২০০২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর অত্যন্ত গোপনে উপজেলার সাতপাই উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড গঠন করে আজিজুল ইসলামকে নিয়োগ দেন। সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা বানিয়াপাড়া মহল্লার মৃত মফিজ উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে আজিজুল ইসলাম ১৯৯৩ সালে সৈয়দপুরের পার্শ্ববর্তী তারাগঞ্জ ও/এ ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী পরীক্ষায় অংশ নেন। ওই পরীক্ষায় ফল প্রকাশ পেলে আজিজুল ইসলাম ইংরেজি বিষয়ে ফেল করেছেন বলে রেজাল্ট শীটে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আজিজুল ইসলাম ওই বছরই দ্বিতীয় বিভাগে বিএ পাশ করার ভুয়া সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে সাতপাই উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে সহকারি শিক্ষক (ইংরেজি) পদের জন্য আবেদন করেন। ম্যানেজিং কমিটির নিয়োগ বোর্ড ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ৭ সেপ্টেম্বর ২০০২ সালে তাকে নিয়োগপত্র দেন। যাহার স্মারক নং ১৮/২০।
এলাকাবাসী জানায়, ২০০২ সালে ভুয়া ডিগ্রী পাশের সার্টিফিকেট প্রদান করলেও আজিজুল ইসলাম ১৯৯০ সাল থেকে ওই প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী পদে চাকুরী করে আসছিলেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয়টি কলেজে উন্নিত হলে তিনি ১৯৯৩ সালে দ্বিতীয় বিভাগে ডিগ্রী পরীক্ষায় পাশ করার সার্টিফিকেট প্রদান করে সহকারি শিক্ষক (ইংরেজি) পদে আবেদন করেন। এলাকাবাসী আরও বলেন, আজিজুল ইসলাম যে বছরে ডিগ্রী পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করার সার্টিফিকেট প্রদান করেছে সে বছর তারাগঞ্জ ও/এ ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় থেকে কেউই দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেনি এবং তার পরীক্ষার রোল নং ১২৮৫৭ এ দেখানো হয়েছে অকৃতকার্য।
অভিযোগকারী হারুনুর রশিদ বলেন, ১৯৯০ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ভুয়া জাল ডিগ্রী পাশের সার্টিফিকেট নিয়ে ওই ব্যক্তি কিভাবে সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছে এবং ভুয়ামী করে সরকারের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও কেনইবা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, পরিচালক, পরিদর্শক ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকাসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দপুর বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে শিক্ষক আজিজুল ইসলাম বলেন, তিনি বিএ পাশ পরীক্ষায় সংশোধনী ফলাফল বিষয়ে তারাগঞ্জ ও/এ ডিগ্রী মহাবিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী পাশ করেছেন। কিন্তু তিনি কোন প্রকার কাগজপত্র দেখাতে পারেননি এবং ওই ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আব্দুল বাকি মন্ডল বলেন, ১২৮৫৭ নং রোল নম্বরটি অকৃতকার্য তালিকায় প্রকাশ হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 1258329082614566447

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item