তিন প্রজন্মের ভিক্ষুক।
https://www.obolokon24.com/2015/03/-post17_17.html
তবে প্রজন্ন থেকে প্রজন্ম ভিক্ষাবৃত্তির একটি দৃষ্টান্ত প্রকাশ করার জন্যই মূলত এই ভূমিকা।তিন প্রজন্মের এই ভিখারিনীত্রয়ের দেখামিলে গত শুক্রবার নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটী বাজারে।তিন প্রজন্মের প্রথম প্রজন্ম পানবিবি স্বামীর বাড়ি চিলাহাটীর কাওলায়।স্বামীর সংসারের অনটনের কারনে শুরু করেন ভিক্ষা।মাঝেমাঝে মেয়ে ফাতেমা খাতুনকেও সাথে নিয়ে যেতেন।মেয়ে ফাতেমার ভিক্ষার হাতেখড়ি সেখান থেকেই।তাইতো বিয়ের পর স্বামীর সংসারের অভাব মেটাতে ধরেন মায়ের পথ।নাম লেখান ভিক্ষুকের খাতায়।সেই থেকে মা মেয়ে একসাথে ভিক্ষা করেন।ভিক্ষার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি সেই থেকে আজ। বরং তাদের দলে যোগ হয়েছে নতুন সদস্য পানবিবির নাতনী এবং ফাতেমা খাতুনের মেয়ে জিন্নাতুন।স্বাভাবিক নিয়মে জিন্নাতুনেরও হয়েছিল বিয়ে।আর দশজন মানুষের মত পড়েছিল সাংসারিক টানাপোড়নে।সমাধানের পথটিও ছিল জানা।তাইতো কাঁধে তুলে নিল ভিক্ষার ঝুলি।
সেই থেকে প্রতি শুক্রবার পানবিবি,ফাতেমা ও জিন্নাতুন একসাথে বাড়ি -বাড়ি,দোকানে-দোকানে ঘুরে।দিন শেষে যা আয় হয় সমান তিন ভাগে বাটোয়ারা করে নেয় তারা।
পানবিবি,ফাতেমা খাতুন ও জিন্নাতুনের আগামী প্রজন্মরাও ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে গ্রহন করবে কিনা জানিনা,তবে প্রত্যাশা তারা এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে গ্রহন করুক ভিন্ন কোন সন্মানজনক পেশা।