কিশোরগঞ্জে গাছে গাছে আমের মুকুল মিষ্টি ঘ্রানে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি


মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার আমগাছগুলোতে মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে। বসন্তের নানা ফুলের সঙ্গে সৌরভ ছড়াচ্ছে গাছে গাছে আমের মুকুল । আর এ মুকুলের মিষ্ট্রি ঘ্রানে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। মনকে করে তুলছে আরো প্রানবন্ত। 

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এ বছর আম গাছে মুকুলের পরিমান বেশি । আমচাষী এবং কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর  এবার আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং সময়মতো সঠিক পরিচর্যা হলে আমের ভাল ফলন হবে। আর এ কারনে আশায় বুক বেঁধে আমচাষীরা শুরু করেছেন আম গাছের পরিচর্যা। তাদের আশা চলতি মৌসুমে আম বিক্রি করে তারা করোনার ক্ষতি কাঁটিয়ে উঠবেন। বুধবার সরেজমিনে পুটিমারী ইউনিয়নের কালিকাপুর, পুটিমারী শ্বশানবাজার, নিতাই ইউনিয়নের মুশরুত পানিয়াল পুকুর, গাড়াগাম ইউনিয়নের ডিসির মোড়,গনেশের বাজার, কিশোরগঞ্জ হাসপাতালের আবাসিকএলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই আমের মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের পাগল করা ঘ্রান। তবে কয়েকজন কৃষক জানান, আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার উপর। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছে বাগান মালিকরা।

কালিকাপুর গ্রামের আমচাষী আমিনুর রহমান জানান, মকুল আসার পর থেকেই তিনি গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। গাছের মুকুল যেন ঝড়ে না পড়ে সেজন্য স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে কিটনাশক ও বালাইনাশক স্প্রে করছেন। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৭০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। এর মধ্যে দেশি উন্নত জাতের আম ছাড়াও আশিনা,বিÑফোর, ল্যাংরা, গোপালভোগ,হাড়িভাংগাসহ বিভিন্ন জাতের আম রয়েছে।   বর্তমানে আবহাওয়া ভাল থাকায় গত কয়েক বছরের তুলনায় আমগাছে প্রচুর মুকুল ধরেছে। আমের মুকুল গুলো যাতে ঝড়ে না পড়ে সেজন্য আমচাষীদেরকে আমগাছে ছত্রাকনাশক ও কিটনাশক প্রয়োগ করতে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।


পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 496809366717985247

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item