কিশোরীগঞ্জে এক তরুনীর গোসলের ভিডিও করায় গ্রেফতার ১
নির্ণয়,নীলফামারী-গোপনে এক তরুনীর গোসলের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করার ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ থানা পুলিশ। শুক্রবার(১ অক্টোবর/২০২১) বিকালে ওই য্বুককে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত য্বুক কিশোরীগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের হাজিরহাট গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে ফরহাদ হোসেন (২০)। তবে এ ঘটনার মুল হোতা একটি মাদ্রাসার দুই ছাত্র পালিয়ে গেছে। ওই তরুনীর বাবা বাদী হয়ে পন্যগ্রাফি আইনে বৃহস্পতিবার(৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলা দায়ের করেন সংশ্লিষ্ট থানায় (মামলা নম্বর ১)। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, উক্ত হাজিপাড়া গ্রামের ওয়াহেদুল ইসলামের দুই ছেলে মাদ্রাসার ছাত্র দেলোয়ার হোসেন (১৭) ও গোলাম মোস্তফা ওরফে গোলজার রহমান(২২) একই গ্রামের এক তরুনীর গোসল করার দৃশ্য গোপনে গাছে উঠে ভিডিও করে। এরপর তারা হাজির হাট গ্রামের কম্পিউটার দোকানদার ফরহাদ হোসেনের কাছে গিয়ে এক মোবাইলের মেমোরি থেকে অন্য মোবাইলের মেমোরিতে ভিডিওটি পরিবর্তনের জন্য যায়। এ অবস্থায় কম্পিউটার দোকানদার ফরহাদ ওই ভিডিওটি গোপনে রেখে দেয়। ভিডিওটি দেখার পর সে ওই তরুনীর চাচাকে ঘটনাটি জানিয়ে ভিডিওটি তাকে দেয়। যা ওই তরুনীর বাড়িতে প্রকাশ পায়। ঘটনাটি জানতে পেরে ওই তরুনী গত ১৭ সেপ্টেম্বর লোকলজ্জায় আতœহত্যার জন্য কিটনাশক পান করে। তাকে তাৎক্ষনিক রংপুর মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে সুস্থ্য হয়ে তরুনী ২৬ সেপ্টেম্বর নিজবাড়িতে ফিরে আসে। এরপর তরুনীর বাবা বাদী হয়ে ওই ঘটনায় উক্ত তিনজনকে আসামী করে থানায় মামলা দেয়।
এদিকে গ্রেফতারকৃত ফরহাদ হোসেনের বাবা দুলাল হোসেন অভিযোগ করে জানান, আমার ছেলে ঘটনাটির সঙ্গে জরিত নয়। সে বরং ঘটনাটি কারা করেছে তা তরুনীর পরিবারকে জানিয়ে সহযোগীতা করেছিল। সেখানে আমার নির্দোষ ছেলেকে আসামী করা হলো। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল। অথচ যারা এই ভিডিও গোপনে ধারন করে বিভিন্নজনকে দিয়েছে তারা কেউ গ্রেফতার হয়নি। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তদের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি করেন।
গ্রামবাসী জানায়, ওরা মাদ্রাসার ছাত্র হলেও তারা বখাটে ও মেয়েদের রাস্তাঘাটে হয়রানী করতো। এখন তারা পলাতক। তাদের বাবাকে আটক করলেই ওদের পাওয়া যাবে। যে জড়িত নয় তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তরুনীর বাবা জানায়, আমি থানায় ২৭ সেপ্টেম্বর দুইজনকে আসামী করে মামলা দিয়েছিলাম। সেই মামলার কাগজ পাল্টিয়ে পুলিশ নতুন করে আরেকটি লিখিত অভিযোগ নেয় আমার কাছে। আমিতো এখন কিছুই বুঝতেছিনা কি হতে কি হচ্ছে। যারা আমার মেয়ের ভিডিও করতো তাদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি বলেন, আমরা মামলার প্রেক্ষিতে মামলার তিন নম্বর আসামীকে গ্রেফতার করেছি। মামলার অপর দুই আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।#