৩৩৩ তে ফোন দিয়ে খাদ্য সহায়তা পেল ৩০ পরিবার


মো: শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতা:
আমার বাবা ঢাকায় গিয়ে রিক্সা চালিয়ে কোন রকমে সংসার চালাতো। করোনাকালিন সময়ে সরকার লকডাউন ঘোষনা করলে বাবা বাড়িতে চলে আসায় ইনকাম বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে আমরা খেয়ে না খেয়ে দিনানিপাত করতে থাকি। এমন সময় পাশের বাড়িতে টিভি দেখতে গিয়ে জানতে পাই ৩৩৩ তে ফোন দিলে সরকারী খাদ্য সহায়তা পাওয়া যায়। 

পরে বাড়িতে এসে ৩৩৩ তে ফোন দিলে আমাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়। আমি আমার বাবা ও মাকে নিয়ে স্যারের সাথে দেখা করলে স্যার আমার হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। কথাগুলো বললে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের দর্জিপাড়া গ্রামের মতিয়ার রহমানের কন্যা সন্তান মুন্নি আক্তার। একই কথা বলেন, পুটিমারী ইউনিয়নের উত্তর ভেড়ভেড়ী গ্রামের ডালিম চন্দ্র তিনি বলেন, আমি ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। করোনায় লকডাউনের কারনে ভাটা বন্ধ হলে আমি আমার তিন কন্যা সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পরে যাই। হাতে যা অর্থকরি ছিল তা শেষ হওয়ার পর নিরুপায় হয়ে জীবন বাঁচাতে ৩৩৩ তে ফোন দিলে তারা ইউএনও স্যারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। স্যারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমাকে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা আমার হাতে তুলে দেন। 

সোমবার বিকাল ৫ টার দিকে উপজেলা পরিষদ হলরুমে  উপজেলা প্রশাসনের আযোজনে ৩০ জন অসহায় দরিদ্র এবং হতদরিদ্র কৃষক,শ্রমিক এবং রিক্সা চালকের হাতে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রবর্তী। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ মো: আবুল কালাম বারী পাইলট, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায়, অনিক মাহমুদ , প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকার, উপ সহকারী প্রকৌশলী আবু সাইদ, পুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটন, সাংবাদিক প্রমুখ।


এর আগে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ২৪ টি পরিবারের মাঝে দুই বান্ডিল করে ঢেউটিন এবং ৬ হাজার করে নগদ টাকা এবং পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ক্ষিতিশ চন্দ্রের পরিবারের হাতে ১৫ হাজার টাকার চেক  বিতরন করা হয়। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 4358632981768762365

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item