নীলফামারীতে ধর্ষণ ও হত্যার পৃথক দুই মামলায় ১ জনের মৃত্যুদন্ড ও ২ জনের যাবজ্জীবন সাজা
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী॥ নীলফামারীতে ধর্ষণ ও হত্যার পৃথক দুই মামলায় এক জনের মৃত্যুদন্ড ও দুই জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২১ জানুয়ারী/২০২১) দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ পৃথক দুটি আদালতে ওই সাজা প্রদান করা হয়।
এরমধ্যে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এ এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান ঘাটেরপার গ্রামের মকবুল হোসেনকে(৪০) মৃত্যুদন্ড ও একই গ্রামের হালিমুর রহমানকে(২৮) যাবজ্জীবন স্বশ্রম কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন ওই আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহাবুবুর রহমান। মামলার অপর চার আসামীকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
মামলাটির সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট রাতে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন জেলার ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান সাইফুন গ্রামের আব্দুল গণির মেয়ে মৌসুমী (১৪)। পরদিন সকালে বাড়ির কাছে বুড়িতিস্তা নদীর কাশবন থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে ডিমলা থানায় মামলা দায়ের করেন মৌসুমীর বাবা আব্দুল গণি। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট মৌসুমিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে মর্মে প্রতিবেশী ইয়াসিন আলীর ছেলে মকবুল হোসেনসহ (৪০) ছয় জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশ।
অপরদিকে পুত্রবধু রাজিয়া সুলতানাকে ধর্ষণের মামলায় সৈয়দপুর উপজেলার সোনাখুলি গ্রামের আসগার আলীকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. আহসান তারেক। মামলার বিবরণে প্রকাশ ২০০৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বাড়িতে একা পেয়ে পুত্রবধু রাজিয়া সুলতানাকে ধর্ষণ করেন শ্বশুর আজগার আলী। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৩ অক্টোবর সৈয়দপুর থানায় শ্বশুরকে একমাত্র আসামী করে মামলা দায়ের করেন পুত্রবধু রাজিয়া। পুলিশ মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এদিকে কিশোরী মৌসুমীর গণধর্ষনের পর হত্যা মামলার রায়ে মতভেদ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের কাছে মৌসুমীর মা এলিজন বেগম জানায় মামলার চারজন আসামী খালাস পাওয়াকে তিনি মেনে নিতে পারেননি। তাদের সকলের তিনি মৃত্যুদন্ড আদেশের আশা করেছিলেন। এ জন্য তিনি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে দায়ি করেন। তিনি আরও জানায় খালাশ পাওয়া আসামীরা এখনি হুমকী দিচ্ছে। জানিনা তারা আমাদের উপর গ্রামে গিয়ে হামলা চালাতে পারে। #