নীলফামারী জেলায় কমেছে করোনার সংক্রমণের হার, মৃত্যু কম
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী॥ নীলফামারী জেলায় কমেছে করোনা সংক্রমণের হার। গত ১১ দিনে ১৬০ জনের পরীক্ষায় নয় জনের সংক্রমণ সনাক্ত হয়েছে। তারা সকলে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন থেকে ভালো আছেন। নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে গত এক সপ্তাহ ধরে কোন করোনা রোগী ভর্তি নেই। জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়ে ২৬ জনের মৃত্যু হলেও নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কেউ মারা যায়নি। এছাড়া জেলায় এপর্যন্ত (১২ জানুয়ারি) মোট করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ৩৮। আক্রান্ত হয়েছেন ১হাজার ৩১৬ জন।
আজ মঙ্গলবার(১২ জানুয়ারী/২০২১) সকাল ১১টায় “মুজিব বর্ষে স্বাস্থ্য খাত, এগিয়ে যাবে অনেক ধাপ” এই প্রতিপাদ্যে নীলফামারী জেনারেল হাসাপাতালে করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব তথ্য জানান সিভিল সার্জন মো. জাহাঙ্গীর কবির। তিনি জানান, গত ১ জানুয়ারী থেকে ১১ জানুয়ারী পর্যন্ত ১৬০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষায় এসব নমুনার মধ্যে নয় জনের করোনা সংক্রমণ সনাক্ত হয়েছে। সিভিল সার্জন মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, অন্যান্য বছর আমাদের জেলায় বেশ কিছু ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গিয়েছিল। এ বছর এ পর্যন্ত মাত্র একজন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে, তিনি ঢাকা ফেরৎ। জনসচেতনতা বৃদ্ধির কারণে ডেঙ্গু তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। করোনাও এখন নিয়ন্ত্রণে। তিনি বলেন, এরকম সময় আমরা গত একশত বছরেও পার করিনি। তার পরেও আমাদের জন্য একটি সুখবর রয়েছে, সেটি হলো এ মাসের শেষ সপ্তাহে আমাদের জেলায় ভ্যাকসিন আসছে। ২ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এই ভ্যাকসিন পরিবহন করা হবে। এটি সংরক্ষণের মতো সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। ভ্যাকসিন সুষ্ঠুভাবে বন্টনের জন্য জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের ওই ভ্যাকসিন জেলার স্বাস্থ্যকর্মীসহ সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সকলে এই ভ্যাকসিনের আওতায় আসবেন।
কর্মশালায় হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মো. মেজবাহুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এ এস এম রেজাউল করিম, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জেলা স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের সোহেল প্রমুখ। #