সড়কতো নয় যেন-নিদারুন ভোগান্তি॥ দূর্ভোগে কিশোরীগঞ্জের ১০ গ্রামের কৃষক
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি॥ দশ গ্রামের একমাত্র প্রধান সড়কটির কাহিল দশা। রাস্তায় চাকা ঘুরেনা। সড়কে এখন কাঁদা পানিতে একাকার। যানবাহন তো দূরের কথা হেঁটেও পার হওয়া যায় না। কাঁদা যেন আঠার মতো লেগে যায়। এ যেন আরেক নিদারুন ভোগান্তি।
বুধবার(৭ অক্টোবর/২০২০) দুপুরে সরেজমিনে গেলে চোখে পড়ে এমন একটি সড়কের বেহালদশার চিত্র।
নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়ন থেকে পাশ্ববর্তী সৈয়দপুর উপজেলার কৃষিপণ্যের হাটবাজারের একমাত্র সংযোগ সড়ক এটি। সড়কের এমন বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে দূর্ভোগ বেড়ে মহা-দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন, চালক, কৃষক ও কৃষিপণ্য পরিবহণকারীদের। এ সড়কের কাঁদা আর গর্ত দেখে অনেকেই এ সড়ককে মরণ ফাঁদ বলে মন্তব্য করেন।
গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, আমাদের গ্রামের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সৈয়দপুর উপজেলার হাটবাজারে সহজে যাতায়াতের জন্য এই গ্রামীন সড়কটি একমাত্র সম্বল। কিন্তু মধুপুর গ্রামের কাছ থেকে নিতাই ছলিমের বাজার পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক গত ৩০ বছর ধরে পাঁকা হচ্ছে না। ফলে সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না হওয়ার কারনে প্রতিবছর হাঁটু পরিমান পানি জমে থাকে।
নিতাই ছলিমের বাজারের বাসিন্দা লাবু মিয়া বলেন, সড়কটিতে সব সময় হাঁটু পরিমাণ কাঁদা পানি জমে থাকার কারনে সড়কটি দিয়ে ভারী যান চলাচল দুরের কথা পায়ে হেঁটেও চলাচল করা যায়না। কাঁদা যেন পায়ে আঠার মতো লেগে থাকে। ফলে নিতাই ইউনিয়নের ১০ গ্রামের কৃষক কৃষি পণ্য পরিবহনে সমস্যায় পড়েছে।
নিতাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুক বলেন, আমি সড়কটি পাকা করনের জন্য বেশ কয়েকবার কিশোরীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলীকে বলেছি। সড়কটির বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল হক বলেন, ছলিমের বাজারের কাছ থেকে খাতামধুপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত মোট সাতশত মিটার সড়কের অবস্থা ভাল না।
নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল স্যারকে বিষয়টি অবগত করেছি। আশা করছি অচিরেই রাস্তাটি পাকা করন করা সম্ভব হবে।#