পীরগাছায় গো-খাদ্যের তীব্র সঙ্কট
https://www.obolokon24.com/2020/09/cow-food.html
রংপুরের পীরগাছায় গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এ সুযোগে গো-খাদ্য ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন ¯'ান থেকে খড় সংগ্্রহ করে উপজেলার হাটবাজার গুলিতে চড়া দামে বিক্রি করছেন। ফলে চরম দুঃশ্চিš-ায় পড়েছে গরুর মালিকসহ কৃষকেরা। তাই তারা পশু পালন অনেকটাই গুটিয়ে নিচ্ছেন ।
জানা যায়, বিগত বছর গুলোতে কম-বেশি গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিলেও এ বছর এ সংকট তীব্র আকার ধারন করেছে। বর্তমানে উপজেলার গাভী খামারি ও গরু মোটা তাজাকরণসহ প্রায় ৪ হাজার গরু খামারীকে গো খাদ্যের জন্য প্রতিনিয়ত হিমশীম খেতে হচ্ছে।
উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের রওশন ফকির, ছাওলা ইউনিয়নের আকবার আলী, মকবুল, আব্দুল্লাহ,আয়াতুল্লাহ, শরিফুলসহ বেশ কয়েক জন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে বন্যা ও জমিতে অতিরিক্ত পানির কারণে কৃষকেরা ধান গাছের নিম্নাংশ কর্তণের সুযোগ না পাওয়ায় শীষ সংলগ্ন ¯'ানে কর্তণের মাধ্যমে কোন রকমে ধান ঘরে তুলতে সক্ষম হয় । কৃষকেরা জমি থেকে খড় সংগ্রহের সুযোগ পাননি । এ কারনে কৃষকদের বাড়িগুলো অনেকটাই খড় শুন্য হয়ে পড়েছে।
এ পরিস্থিতিতে উপজেলার প্রায় শতাধিক খড় ব্যবসায়ী পার্শবর্তী দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জ থেকে খড়ের গাদা ক্রয় করে পাওটানাহাট, তাম্বুলপুর হাট, কান্দির হাট, সাতদরগা বাজার, উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করলেও তা স্বাভাবিক দামের চেয়েও ৩ গুন চড়া মুল্যে ক্রয় করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শামসুজ্জামান বলেন, খড় সংকটের কারণ হিসেবে ধান কর্তণের সময়ে বন্যা ও জলাবদ্ধতা। পাশাপাশি অনেক ধানের জমিতে ভুট্টাসহ অন্যন্য ফসল চাষকে দায়ী করেন। তিনি মনে করেন এ কারণে খড় সংকটের সৃষ্টি হয়েছে ।