কিশোরগঞ্জে গ্রামীণ কাঁচা সড়ক চলাচলের অনুপোযোগী, ভোগান্তির শিকার মানুষ
মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণ রাস্তাগুলো বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। চলতি বর্ষায় হাঁটু পরিমাণ কাঁদা পানি জমে থাকায় গ্রামীণ রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এসব রাস্তা দিয়ে চলাচলরত সাধারন মানুষ।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের মাইজালি দিনেশ বাবুর বাড়ি হইতে একই ইউনিয়নের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা রেহেনা বেগমের বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার। বাহাগিলি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাচারীপাড়া থেকে ময়নাকুড়ি পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার। পুটিমারী ইউনিয়নের কালিকাপুর চৌধুরীপাড়া থেকে চাঁড়ালকাঁটা নদীর উপর নির্মিত ব্রীজের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত এক কিলোমিটার। মাগুড়া দোলাপাড়া মজির মাষ্টারের বাড়ি থেকে পেলকা ডাক্তারের বাড়ি পর্যন্ত তিন কিলোমিটার। গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের কাকেয়ার পার থেকে রণচন্ডি ইউনিয়নের পাকাঁর রাস্তা পর্যন্ত চার কিলোমিটার গস্খামীণ সড়ক একেবারে চলাচলের অনুপোযোগী। কাঁচা রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না করার কারনে এবং অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে রাস্তা ভেঙ্গে গিয়ে এবং রাস্তায় হাঁটু পরিমান পানি জমে দুর্বিষহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গ্রামীণ রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন থেকে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা উপজেলা এলজিইডির কোন কর্মকর্তা রাস্তাগুলোর বিষয়ে কোন খোঁজ খবর নেননা। বর্তমানে রাস্তাগুলোর এমন খারাপ অবস্থা যে যানবাহন চলাচলতো দুরের কথা পায়ে হেঁটেও চলা মুশকিল।
বাহাগিলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ দুল বলেন, আমার ইউনিয়নের গ্রামীণ রাস্তাগুলো একেবারে বেহাল। এর মধ্যে কাচারীপাড়া থেকে ময়নাকুড়ি রাস্তাটি পাকা করনের জন্য এলইজিইডি দপ্তরে তালিকা দিয়েছি।
বড়ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামীণ কাঁচা সড়ক চলাচলের অনুপোযোগী।
উপজেলা প্রকৌশলী মফিজুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, যে সমস্ত গ্রামীণ সড়ক চলাচলের একেবারেই অনুপোযোগী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে তালিকা নিয়ে ওই সড়কগুলো পাকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে।