দেশে করোনায় মৃত্যু ২ হাজার ছাড়াল, নতুন শনাক্ত ২৭৩৮
https://www.obolokon24.com/2020/07/corona_43.html
দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়াল। গত ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে আরও ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট মারা গেছেন ২ হাজার ৫২ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৩৮ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ জন।
আজ রবিবার (৫ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ হাজার ৯৬৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১৩ হাজার ৯৮৮টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৮ লাখ ৪৬ হাজার ৬২টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৭৩৮ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৫৫ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৫২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৯০৪ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭২ হাজার ৬২৫ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের ১৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, একজন রাজশাহী বিভাগের, ছয়জন খুলনা বিভাগের, পাঁচজন বরিশাল বিভাগের, দুইজন সিলেট বিভাগের , আটজন রংপুর বিভাগের এবং একজন ময়মনসিংহ বিভাগের। ৪১ জন মারা গেছেন হাসপাতালে এবং ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়। এদের মধ্যে ১ থেকে ১০ বছরের একজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৭ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৩ জন, ষাটোর্ধ্ব নয়জন, সত্তরোর্ধ্ব ১২ জন রয়েছেন।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৪ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ।
বুলেটিনে বরাবরের মতো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেশবাসীর উদ্দেশে তুলে ধরা হয়।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৪ লাখ প্রায়। মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি। তবে সাড়ে ৬৪ লাখের মতো রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।