পাগলাপীরে স্বামী সন্তানের পর স্ত্রীও করোনা আক্রান্তের আশঙ্কায় কোয়ারেন্টাইনে
https://www.obolokon24.com/2020/05/corona_54.html
|
|
হাবিবুর রহমান সেলিম, পাগলাপীর ঃ রংপুরের পাগলাপীরের চেরকাপাড়া গ্রামে আব্দল জলিল নামে এক মুদীর দোকানীর বাসায় ভাড়াটিয়া ৩ সদস্যের পরিবারের স্বামী ও সন্তানের পর এবার স্ত্রীকে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের আশঙ্কায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সোমবার ৪ঠা মে রাত ৮ টায় সদর উপজেলা হাসাপাতালের চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষা শেষে স্বামী সন্তানের পর স্ত্রীকেও কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন এবং পুরো পরিবারের শারীরিক খোজ খবর ও ঔষধ পত্র প্রদান করেন। জানাগেছে পাগলাপীরের চেরকাপাড়া গ্রামে রংপুর নওয়াবগঞ্জ বাজার শাখা সোনালী ব্যাংকে জনৈক ব্যক্তি তার স্ত্রী তারাগঞ্জ উপজেলা একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক এবং আড়াই বছরের শিশু সন্তান, এই ৩ সদস্যের পরিবারটি মুদির দোকানি আব্দুল জলিলের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছেন। দুই সপ্তাহ পূর্বে উক্ত সোনালী ব্যাংকে ৭ জন কর্মকর্তা কর্মচারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এ ঘটনার পর জনৈক ভাড়াটিয়া ব্যাংকার ও তার আড়াই বছরের শিশু পুত্র জ্বর, সর্দিতে ভুগতে শুরু করলে করোনা আক্রান্তের আশঙ্কায় পরিবারটি নিজেকে সঙ্গনিরোধ করে রংপুর শহরের জনৈক চিকিৎসকের কাছে রক্ত পরীক্ষা করতে গেলে চিকিৎসক করোনা আক্রান্তের আশঙ্কা প্রকাশ করে। এর ফলে ৩০ শে এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টায় সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ইসরাত সাদিয়া সুমি, কোতয়ালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবিএম সাজেদুল ইসলাম, চিকিৎসক টিম ও স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দের উপস্থিতিতে গ্রাম বাসী সহ দেশের জনগনকে সুস্থ রাখতে উক্ত ভাড়াটিয়া পরিবারটিকে লক ডাউনে রাখার নির্দেশ দেন। বর্তমানে ভাড়টিয়া পরিবারটি স্বামী ও সন্তান পূর্নাঙ্গ ভাবে সুস্থ হয়ে উঠলেও স্ত্রী জ্বর, সর্দিতে ভুগছেন। গ্রামবাসীরা আশা করছেন খুব শ্রীঘ্রই স্ত্রীও সুস্থ হয়ে উঠবেন।