সৈয়দপুরে বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ
https://www.obolokon24.com/2020/04/saidpur_15.html
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় গরীব, দুস্থ মানুষেরা নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের জিয়ারবাজারে ঢেলাপীর-হাজারীহাট সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে। আজ (বুধবার) সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ এনে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে এলাকার কয়েক শতাধিক শিশু-কিশোর ও নারী-পুরুষ। পরে সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার পরিমল কুমার সরকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা।
অবরোধকারীদের অভিযোগে জানা গেছে, সৈয়দপুর উপজেলার ৪ নম্বর বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হেলাল চৌধুরী গত মঙ্গলবার রাতের তাঁর লোকজন নিয়ে দুইটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে কয়েক বস্তা ত্রাণের চাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এক গ্রাম পুলিশের বাড়িতে নিয়ে যায়। আর এ ঘটনাটি টের পান এলাকার লোকজন। এ সময় তারা সরকারি ওই ত্রাণের চাল আটক করেন। পরে চেয়ারম্যান মো. হেলাল চৌধুরী সেখানকার লোকজনকে নানা অজুহাত দেখিয়ে ত্রাণগুলো রাতেই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।
এদিকে, বুধবার ওই ঘটনার প্রতিবাদে এবং সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের শাস্তি এবং কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করা হয়েছে। বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ঢেলাপীর - হাজারীহাট সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে এলাকার কয়েক শতাধিক শিশু-কিশোর ও নারী-পুরুষ। পরে অবরোধ ও বিক্ষোভের খবর পেয়ে সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) পরিমল কুমার সরকার ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তিনি ঘটনার বিষয়ে তদন্তের আশ্বাস দিলে অবরোধকারী লোকজন তাদের অবরোধ তুলে নেয়। পরে সেখানে পরিস্থিতি স্বাভারিক হয়।
বুধবার রাতে মুঠোফোনে কথা হলে বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হেলাল চৌধুরী বলেন, ওই রাতে তিনি নিজেই তাঁর ইউনিয়নের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষজনকে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়েছিলেন। ১২১ টি প্যাকেট দুইটি ব্যাটারিচালিত অটো রিকশা নিয়ে বিতরণ করা হচ্ছিল। আর প্রতিটি প্যাকেটে ১০ কেজি করে ত্রাণের চাল এবং তাঁর নিজের অর্থে কেনা ২ কেজি করে আলু ছিল। দুইটি দলে বিভক্ত হয়ে ত্রাণ বিতরণকালে একটি অটোরিকশা গ্রাম পুলিশ তাঁর বাড়ির সামনে রেখে রাতে খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় লোকজন তা দেখতে পেরে সেখানে তারা হৈ চৈ করতে থাকেন। পরে আমি ত্রাণ বিতরণ বন্ধ করে সে সব ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ে আসি। এখানে ত্রাণ আত্মসাতের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।
সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) পরিমল কুমার সরকার বলেন, ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে ওই ইউনিয়নে সরকারিভাবে বরাদ্দ ও বিতরণকৃত ত্রাণের মধ্যে কোন গড়মিল পাওয়া যায়নি। তবে রাতে বেলা ত্রাণ বিতরণ কেন (?) এমন প্রশ্নের জবারে তিনি বলেন, বিষয়টি দেখভাল করছেন ইউএনও স্যার। তিনিই এ বিষয়টি ভাল বলতে পারবেন।