করোনার কারনে করুন অবস্থায় নীলফামারীর নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা
https://www.obolokon24.com/2020/04/corona_5.html
কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ করোনা ভাইরাসের কারনে সরকারী অফিস আদালতে সাধারন ছুটি ঘোষনার পাশাপাশি দোকান পাট বন্ধ থাকার কারনে সবচেয়ে বেকায়দায় পড়েছিল খেঁটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। সরকারী সহায়তার পাশাপাশি বেসরকারীভাবে নি¤œ আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য খাদ্য সামগ্রী বিতরন করায় তাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি এসেছে।
কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারনে করুন অবস্থা বিরাজ করছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কয়েক হাজার নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর।
এই সঙ্কটকালিন সময়ে নিম্নবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যে যারা সরকারী কিংবা বেসরকারী চাকুরী করেন, মাস শেষে পরিবারের সদস্যসের চাহিদা মিটিয়ে হাতে আর কিছুই থাকনো। পাশাপাশি যে সমস্ত মধ্যবিত্ত পরিবারে কোন সদস্য সরকারী কিংবা বেসরকারী চাকুরীতে নেই সে সমস্ত মধ্যবিত্ত পরিবার পুরোপুরি কৃষির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু বর্তমানে কোরোনার প্রভাবে বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমুল্য পাচ্ছেননা। ফলে মহা বিপদে পড়েছেন মধ্যবিত্ত নি¤œবিত্ত পরিবারগুলো। তারা না পারছেন কারো কাছে সহায়তা চাইতে না পারছেন ঘরে থানা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে দিনযাপন করতে। কারন তাদের বেশির ভাগেরই হাতে পর্যাপ্ত টাকা নেই। কাজ বন্ধ থাকায় আয় করার পথও নেই। ফলে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের অপেক্ষায় দিন কাটছে মানুষগুলোর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন , তাঁর তিন ছেলে এক মেয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন মেঝো ছেলে ঢাকায় পোশাক শ্রমিক হিসাবে কাজ করে। করোনা কারনে মেঝো ছেলে বাড়িতে এসেছে। এর মধ্যে তিনি আবার দুবিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। ওই দুই বিঘা জমিতে সেচ দেয়া আবার পরিবারের ৫জন সদস্যের জন্য পর্যাপ্ত খাবার না থাকায় তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
পুটিমারী ইউনিয়নের এক বাসিন্দা বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারনে কঠিন অনিশ্চতায় পড়ে চোখে মুখে অন্ধকার দেখছেন। কিভাবে সংসার চালাবেন সেই চিন্তায় চোখে ঘুম আসেনা।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইলট বলেন, প্রতিটি গ্রামে হতদরিদ্র খেঁটে মানুষের পাশাপাশি নিম্ম মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে । আমি ব্যাক্তিগতভাবে আমার সহপাঠি যারা ১৯৯৬ সালে এসএসসি পাশ করেছে তাদেরকে নিয়ে একটি ফান্ড গঠন করেছি সেই ফান্ডে যে অর্থ আসবে তা দিয়ে এবং সরকারী বরাদ্দ দিয়ে তাদের পাশে দাড়ানো হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার সব সময় মানুষের কল্যানে কাজ করছে। কাজে এই সরকারের আমলে কোন লোক না খেয়ে মরবেনা ইনশাআল্লাহ।