পাগলাপীরে করোনায় কাঁচা মরিচ ও বেগুনের মূল্য কমে যাওয়ায় ক্রেতারা স্বস্তিতে
https://www.obolokon24.com/2020/04/Rangpur_12.html
হাবিবুর রহমান সেলিম, পাগলাপীর ঃ রংপুরের পাগলাপীরের বিভিন্ন স্থানের হাট বাজারে কাঁচা মরিচ ও বেগুন সহ কাঁচা বাজারের জিনিস পত্রের মূল্য কমে গেছে। বিশেষ করে কাঁচা মরিচ ও বেগুনের মূল্য আকাশ পাতাল কমে যাওয়ায় পাগলাপীর অঞ্চলের নি¤œ আয়ে ক্রেতা সাধারনের মাঝে বিরাজ করছে স্বস্তির নিঃস্বাস। স্বরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে পাগলাপীরের কাঁচা বাজার নামাহাট, হরকলি, সিবের বাজার, পানবাজার, সরদের বাজার, খারুয়াবাধা, গলাকাটার বাজার, মমিনপুর, সেন্টারের হাট, নেকীরহাট, শলেয়াশাহ, বালাবাড়ী, খলেয়া গঞ্জিপুর, খাপড়িখাল, চন্দনের হাট, খিললগঞ্জ, বাংলাবাজার, সিঙ্গেরগাড়ী, নয়ারহাট, হাজীরহাট, নেকাবাঁশ, ধনতোলা, বিড়াবাড়ী, বড়বিল, বেতগাড়ী, পাকুড়িয়া শরীফ, শয়রাবাড়ী ও হাজীরহাট সহ অঞ্চলের বিভিন্ন হাট বাজারে ব্যাবসায়ীরা ৩ সপ্তাহ পূর্বে যে কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ২০০ টাকা এবং বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছিলেন এখন মূল্য কমে যাওয়ায় সেই কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৫ থেকে ১০ টাকা এবং বেগুন ৫ থেকে ১০ টাকা দরে বিক্রী করতেছেন। পাগলাপীরের নামাহাটের অনিল চন্দ্র সরকার, হরকলির হাটের গোলাম মোস্তফা সহ অঞ্চলের কাঁচা বাজার ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকে বলেন দেশ ব্যাপী চলছে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লক ডাউন। লক ডাউনের কারনে পাগলাপীর ও রংপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট বাজারের হোটেল রেস্তোরা সহ খাদ্যের দোকান ছাড়া সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং রংপুর দিনাজপুর ঢাকা হাইওয়ে ও ডালিয়া বুড়িমারী সহ সকল রাস্তা ঘাটে পন্যবাহী যানবাহন ছাড়া সকল পরিবহন চলাচল বন্ধে কাঁচা বাজারের জিনিসপত্রের রপ্তানী কমে গেছে। এর ফলে পাগলাপীর অঞ্চলের বিভিন্ন হাট বাজারে কাঁচা মরিচ বেগুন সহ কাঁচা বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের মূল্য কমে যাওয়ায় নি¤œ আয়ের ক্রেতারা স্বস্তিতে সাচ্ছন্দে কেনা কাটা করতে কাঁচা বাজার। এদিকে পাগলাপীরের বিড়াবাড়ীর কাজল চন্দ্র রায় সহ অঞ্চলের কাঁচা বাজার চাষিরা সাংবাদিক কে বলেন করোনা ভাইরাসের কারনে কাঁচা মরিচ, বেগুন, পটল, লাউ, সিম সহ কাঁচা বাজারের জিনিস পত্রের মূল্য কমে গেলেও দূঃখ নেই। কেননা করোনা ভাইরাসের কারনে দেশের এই দূর্যোগ মুহুর্তে মানুষজন অন্তত হলেও কম মূল্যে (সস্তা) কাঁচা বাজারের জিনিস পত্র ক্রয় করে পরিবারকে বাঁচাতে পারবে বলে তারা মনে করেন।