সৈয়দপুরে লক্ষণপুর স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ

তোফাজ্জল হোসেন  লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
 ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে ল্যাপটপ ব্যবহার করে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পাঠদানের লক্ষ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুরে লক্ষণপুর স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকারা একটি ব্যতিক্রমর্ধী উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকা নিজ নিজ ল্যাপটপ নিয়ে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে পাঠদান করাতে পারেন, সে উদ্দেশ্যে এ সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। আর তাদের এ উদ্যোগের প্রথম ধাপে প্রতিষ্ঠানের পাঁচজন শিক্ষক-শিক্ষিকা পেলেন এইচপি ব্যান্ডের নতুন একটি করে ল্যাপটপ।
আজ (সোমবার) দুপুরে ওই পাঁচজন শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়। দুপুরে প্রতিষ্ঠান মিলনায়তনে ওই ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাসিম আহমেদ।
 কলেজ পরিচালনা পর্ষদের দাতা সদস্য মো. হোসেন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম রেজা।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সৈয়দপুর উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।
 অনুষ্ঠানে সৈয়দপুর  উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আবু হাসনাত সরকার, সাংবাদিক নজির হোসেন নজু, তোফাজ্জল হোসেন লুতু, প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন।
 শেষে প্রধান অতিথি ইউএনও নাসিম আহমেদ লটারী মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন।
 ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ইউএনও নাসিম আহমেদ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এ  ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন।
লক্ষণপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম রেজা জানান, প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রতি মাসে সরকারি বেতন-ভাতার বাইরেও প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্টহারে টিফিনসহ অন্যান্যখাতে কিছু ভাতাদি পেয়ে থাকেন। তাদের  প্রাপ্ত ওই ভাতার অর্থের কিছু অংশ কেটে সমন্বিতভাবে একটি নির্দিষ্ট ফান্ডে জমা রাখার করা হয়। এরপর ওই জমাকৃত অর্থে দুই মাস অন্তর অন্তর একটি করে ল্যাপটপ কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন তারা। গত  ২০১৯ সালের আগষ্ট মাস থেকে তারা ওই উদ্যোগ নেয়। আর গত কয়েক মাসে এভাবে ১৮জন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের  জমাকৃত অর্থে পাঁচটি ল্যাপটপ কেনা হয়েছে। গতকাল ওই ল্যাপটপগুলো লটারীর মাধ্যমে পাঁচজন শিক্ষক-শিক্ষিকার মাঝে বিতরণ করা হয়।
তিনি আরো জানান, এভাবে প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকারা একটি করে ল্যাপটপ পাবেন। আর  এ ভাবে নিজেরদের ভাতার অর্থে ল্যাপটপ কিনে তাঁরা শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে সক্ষম হবেন বলে আশাবাদী তিনি।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 4043660025783276084

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item