কিশোরগঞ্জে চলছে অতিথি পাখি শিকারের মহোৎসব

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ  প্রতিবারের মতো এবারো শীতের শুরুতে হিমালয় ও সাইবেরিয়াসহ শ্রীতপ্রধান এলাকা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকাসহ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় এসে আশ্রয় নিয়েছে।
আর এই অতিথি পাখি আগমনের কারনে স্থানীয় শিকারিরা এয়ারগান, বিষটোপ ও ফাঁদদিয়ে পাখি মারার মহোৎসবে মেতে উঠেছে।
 জানা গেছে, গত চার  পাঁচ বছর আগে থেকে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু করে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ঝাঁকে ঝাঁকে অসংখ্য অতিথি পাখি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় এসে বাঁসা বাঁধতে শুরু করে।  এখানে প্রজননের মাধ্যমে বংশ বৃদ্ধি করে চলেছে পাখিগুলো । কিশোরগঞ্জ উপজেলা শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে তিস্তা সেচ ক্যানেল। পাশাপাশি  এ উপজেলায় রয়েছে যমুনেশ্বরী ও চাঁড়ালকাঁটা নামে দুটো বৃহৎ নদী।  কিশোরগঞ্জ থানা ও আশপাশের ইউনিয়ন গুলোতে রয়েছে অনেক পুরোনো শিমুল, কৃষ্ণচুড়া  ,কড়াই ,মেহগনী ও জামগাছ। প্রথম দিকে আসা যাওয়া থাকলে এখন তারা স্থায়ীভাবে বাসা বাঁধে বসবাস শুরু করেছে।  খুব ভোরে এরা দলবেঁধে  ও খাদ্যের সন্ধানে উড়ে যায় যেখানে সেখানে । আর এই সুযোগে শিকারিরা এয়ারগান, বিষটোপ ও পাখি মারার ফাঁদ ব্যবহার করে পাখিগুলোকে শিকার করছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরের মাগুড়া ইউনিয়নের পারের হাটে গিয়ে দেখা যায় , দুজন পাখি শিকারী এয়ারগান দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অতিথি পাখি শামুখ খোল, আইচচড়া ও দেশি জাতের বক ও ঘুঘু পাখি শিকার করেছে। এসময় পাখি শিকারের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করার আগেই শিকারীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাড়াতাড়ি পালিয়ে যান।
মাগুড়া ইউনিয়নের সিঙ্গেরগাড়ী গ্রামের জাকির আলী বলেন, পাখিরা শুধু প্রকৃতির শোভা বর্ধন করে না  পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা করে। পোকামাকড় খেয়ে এরা কৃষকের উপকার করে। কিন্তু কিছু মানুষ খুব ভোরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন কায়দায় পাখিগুলো মেরে ফেলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, শুধু অতিথি পাখি নয় যে কোন পাখি শিকার করা দন্ডনীয় অপরাধ। পাখি শিকারের খবর পেলে শিকারীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2311468775161040508

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item