বেদে জীবনে ডিজিটালের ছোঁয়া
https://www.obolokon24.com/2019/11/rangpur_30.html
ফজলুর রহমান, পীরগাছা (রংপুর)
সাপ ধরা, সাপ খেলা দেখানো এবং নানা তাবিজ-কবজ ও কবিরাজি ওষুধ বিক্রি করা বংশ পরম্পরায় বেদে সম্প্রদায়ের লোকজনের পেশা।
তবে সময়ের স্রোতে বেদেরা পাল্টে ফেলছেন তাদের জীবনযাত্রা। নৌকার ভাসমান যাযাবর জীবন ছেড়ে এখন উঠে এসেছেন ডাঙায়। আদি পেশার কারণে ভবঘুরে জীবনযাপন করলেও এখন লেগেছে ডিজিটালের ছোঁয়া।
সরেজমিনে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পাকার মাথা এলাকায় অস্থায়ীভাবে বসবাসরত বেদে সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রায় এই পরিবর্তনের চিত্র দেখা যায়।
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পলিথিনের মোড়ানো ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘরে এখন সৌর-বিদ্যুতের আলো জ্বলছে। প্রতিটি অস্থায়ী ঘরের উপরে ও পাশে লাগানো হয়েছে সোলার প্লান্ট। সারা বছরই প্রায় যাযাবর জীবনে অন্ধকারে কেটেছে পরিবারগুলোর। এখন সৌর বিদ্যুতের কল্যাণে আলো জ¦লছে তাদের ঘরে। তাদের হাতে হাতে এখন মুঠোফোন। সেই মুঠোফোন এখন সৌর বিদ্যুৎ দিয়েই চার্জ দেওয়া হয়। মেমরি কার্ড দিয়ে চলে ছোট আকারের ডিজিটাল টেলিভিশন। এই আলোতে তাদের ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখা করছে। বর্তমানে তাদের জীবন ধারায় অনেক পরিবর্তন এসেছে, লেগেছে ডিজিটালের ছোঁয়া।
শাহাআলী নামের এক বেদে বলেন, ‘অনেকে এখন বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে অন্য কাজ করছে। সাপ কেনা-বেচা ও সাপ খেলার ব্যবসা আগের মতো চলে না। ছেলে-মেয়েরাও আর এ পেশায় আসতে চায় না। তাঁরা পড়ালেখা করে মানুষের মতো মানুষ হতে চায়। ভবঘুরে জীবন ছেড়ে নিয়মিত স্কুলে যেতে চায়।’
আরেক বেদে আদম আলী বলেন, ‘খোলা আকাশের নিচে বিভিন্ন গাছের তলে, অস্থায়ী ঝোপ-ঝাড়ে এবং বিভিন্ন পুকুর পাড়ে আমরা দলবেঁধে বসবাস করি। আগে রাতের অন্ধকারে আমাদের জীবন চলতো কিন্তু এখন সৌর বিদ্যুতের আলো আছে।’
বেদে সরদার নুনু মিয়া বলেন, ‘আমরা বছরের ১০ মাস দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াই আর দু’মাস ঢাকার সাভারে থাকি। যখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অস্থায়ী বসবাস করি তখন রাতে কেরোসিনের বাতিই ভরসা ছিল। এখন রাতে সৌর বিদ্যুতের বাতি জ¦লে। এখান থেকে মোবাইলে চার্জ দিতে পারি। মেমরি কার্ড দিয়ে টিভিতে ভিডিও দেখতে পারি।’
সাপ ধরা, সাপ খেলা দেখানো এবং নানা তাবিজ-কবজ ও কবিরাজি ওষুধ বিক্রি করা বংশ পরম্পরায় বেদে সম্প্রদায়ের লোকজনের পেশা।
তবে সময়ের স্রোতে বেদেরা পাল্টে ফেলছেন তাদের জীবনযাত্রা। নৌকার ভাসমান যাযাবর জীবন ছেড়ে এখন উঠে এসেছেন ডাঙায়। আদি পেশার কারণে ভবঘুরে জীবনযাপন করলেও এখন লেগেছে ডিজিটালের ছোঁয়া।
সরেজমিনে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পাকার মাথা এলাকায় অস্থায়ীভাবে বসবাসরত বেদে সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রায় এই পরিবর্তনের চিত্র দেখা যায়।
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পলিথিনের মোড়ানো ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘরে এখন সৌর-বিদ্যুতের আলো জ্বলছে। প্রতিটি অস্থায়ী ঘরের উপরে ও পাশে লাগানো হয়েছে সোলার প্লান্ট। সারা বছরই প্রায় যাযাবর জীবনে অন্ধকারে কেটেছে পরিবারগুলোর। এখন সৌর বিদ্যুতের কল্যাণে আলো জ¦লছে তাদের ঘরে। তাদের হাতে হাতে এখন মুঠোফোন। সেই মুঠোফোন এখন সৌর বিদ্যুৎ দিয়েই চার্জ দেওয়া হয়। মেমরি কার্ড দিয়ে চলে ছোট আকারের ডিজিটাল টেলিভিশন। এই আলোতে তাদের ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখা করছে। বর্তমানে তাদের জীবন ধারায় অনেক পরিবর্তন এসেছে, লেগেছে ডিজিটালের ছোঁয়া।
শাহাআলী নামের এক বেদে বলেন, ‘অনেকে এখন বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে অন্য কাজ করছে। সাপ কেনা-বেচা ও সাপ খেলার ব্যবসা আগের মতো চলে না। ছেলে-মেয়েরাও আর এ পেশায় আসতে চায় না। তাঁরা পড়ালেখা করে মানুষের মতো মানুষ হতে চায়। ভবঘুরে জীবন ছেড়ে নিয়মিত স্কুলে যেতে চায়।’
আরেক বেদে আদম আলী বলেন, ‘খোলা আকাশের নিচে বিভিন্ন গাছের তলে, অস্থায়ী ঝোপ-ঝাড়ে এবং বিভিন্ন পুকুর পাড়ে আমরা দলবেঁধে বসবাস করি। আগে রাতের অন্ধকারে আমাদের জীবন চলতো কিন্তু এখন সৌর বিদ্যুতের আলো আছে।’
বেদে সরদার নুনু মিয়া বলেন, ‘আমরা বছরের ১০ মাস দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াই আর দু’মাস ঢাকার সাভারে থাকি। যখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অস্থায়ী বসবাস করি তখন রাতে কেরোসিনের বাতিই ভরসা ছিল। এখন রাতে সৌর বিদ্যুতের বাতি জ¦লে। এখান থেকে মোবাইলে চার্জ দিতে পারি। মেমরি কার্ড দিয়ে টিভিতে ভিডিও দেখতে পারি।’