ইলিয়াস কাঞ্চনকে অসম্মান: চলচ্চিত্রের ১৮টি সংগঠনের মানববন্ধন
https://www.obolokon24.com/2019/11/elas-kanchon.html
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর,সাধারণ সম্পাদক জায়েদ, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, সাধারণ সম্পাদক, বদিউল আলম খোকন, সাংগঠনিক সচিব অপূর্ব রানা,সোহানুর রহমান সোহান,শাহীন সুমন,এস এ হক অলিক।এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সভাপতি আতিকুর রহমান লিটন,পরিচালক এস এ হোক অলিক, অভিনেত্রী অঞ্জনা, অরুণা বিশ্বাস,চিত্রনায়ক আলেকজান্ডার বৌ, মারুফ প্রমুখ।
১৯৯৩ সালের ২২ অক্টোবর মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী জাহানারাকে হারিয়ে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন শুরু করেন চলচিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ২৬ বছর ধরে সংগঠনটি নিয়ে কাজ করছেন তিনি। সম্প্রতি সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ কার্যকর হলে ইলিয়াস কাঞ্চনকে অসম্মান করে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন চলচ্চিত্রের ১৮ টি সংগঠন।
১৮ সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক, শিল্পী, নৃত্যশিল্পী, চিত্রগ্রাহক, ফাইট ডিরেক্টর, সহকারী পরিচালকদের সমিতিগুলোর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত হন মানবন্ধনে। ইলিয়াস কাঞ্চনের নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত হত লিটন আরশাদ।
মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পের সব সংগঠনের পক্ষ থেকে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রতি অসম্মানজনক আচরণের তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানাই। সেই সঙ্গে জনস্বার্থে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর পূর্ণ বাস্তবায়ন চাই আমরা।’
তিনি আরও বলেন, ইলিয়াস কাঞ্চন দীর্ঘ ২৭ বছর একা একা লড়াই করে চলছেন তিনি দেশের মানুষের নিরাপদ জীবনের জন্য। তার প্রতি অপমান মেনে নেয়া যায় না!’
মুশফিকুর রহমান গুলজার আরও বলেন, ‘কাঞ্চন সাহেব রাষ্ট্রকে সুপারিশ করেছেন কী কী নিয়ম ও আইন করতে পারলে দেশের সড়ক দুর্ঘটনা কমবে বা সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামবে। সরকার সেই আইন বাস্তবায়ন করবে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে। এখানে ইলিয়াস কাঞ্চনকে কেন অশালীন ভাষায় গালি দেয়া হচ্ছে। তার ছবিতে কুরুচিপূর্ণ কথা লেখা হচ্ছে। এটা অন্যায়। যারা করছেন তাদের প্রতি আমাদের ঘৃণা ও প্রতিবাদহয়।