সৈয়দপুরে রাজমিস্ত্রীর মেয়ে জাকিয়া সুলতানা মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেল
https://www.obolokon24.com/2019/10/saidpur_94.html
তোফাজ্জল হোসেন লুতু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে রাজমিস্ত্রীর মেয়ে জাকিয়া সুলতানা এবারে মেডিকেল ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। মেধাবী শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা মেধা তালিকায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুুযোগ পান।
নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের কয়ানিজপাড়া এলাকার মো. জাকারিয়া ও মোছা. শহিদা বেগমের মেয়ে জাকিয়া সুলতানা। গৃহকর্তা মো. জাকারিয়া পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী এবং শহিদা বেগম একজন গৃহিনী। ওই দম্পতির তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে দ্বিতীয় সে। পেশায় রাজমিস্ত্রি জাকারিয়ার যৎসামান্য আয়ের ৬ সদস্যের পরিবার ঠিকভাবে চলে না। সেখানে চার ছেলেমেয়ের লেখাপড়া চিন্তায় করা যায় না।
তারপরও ওই দম্পতি ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বিষয়ে আন্তরিক। সংসারের শত অভাব অনটনের মধ্যেও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছেন। জাকিয়া সুলতানা’র বড় বোন জয়নব আরা স্মৃতি পড়েন ঢাকা নার্সিং কলেজে। আর ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় জাকিয়া সুলতানা সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী মহাবিদ্যালয় এবারে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এর আগে সে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৭ সালে গোল্ডেন জিপিএ-৫ নিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়। এরপর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভর্তিও সুযোগ পায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে।
তাঁর ছোট বোন জিহাদ নাহার ঋতু সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী মহাবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়ন করছে। আর সবার ছোট ভাই আব্দুল্লাহ প্রামানিক স্মরণ। তাঁর বয়স চার বছর। জাকিয়া সুলতালা তাঁর এ সফলতার জন্য বাবা-মাসহ প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকার অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। সেই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সৈয়দপুর শহরের মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টার বিট’স্ এর পরিচালক প্রভাষক মো. আব্দুল হাফিজ হাপ্পু প্রতিও। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি ফলাফল প্রকাশের পর রাজমিস্ত্রির মেয়ে জাকিয়া সুলতানার মেডিকেলে ভর্তি সুযোগ পেয়েছে এ ছড়িয়ে পড়ে। আর এ খবরে শহরের অনেকেই জাকিয়াদের বাড়িতে তাকে দেখতে ছুঁটে আসেন। এ সময় তারা তাঁর ভবিষ্যতে আরো সফলতা কামনা করেন।
সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী কলেজের অধ্যক্ষ মো. গোলাম আহ্মেদ ফারুক বলেন, জাকিয়া সুলতানা অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী। তাঁর লেখাপড়ায় আমরা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাকে যথাসাধ্য সহযোগিতা দিয়েছি। আগামীতে সে সমাজের বিত্তশালীদের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেলে আরো ভাল করবে বলে জানান তিনি।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে রাজমিস্ত্রীর মেয়ে জাকিয়া সুলতানা এবারে মেডিকেল ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। মেধাবী শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা মেধা তালিকায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুুযোগ পান।
নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের কয়ানিজপাড়া এলাকার মো. জাকারিয়া ও মোছা. শহিদা বেগমের মেয়ে জাকিয়া সুলতানা। গৃহকর্তা মো. জাকারিয়া পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী এবং শহিদা বেগম একজন গৃহিনী। ওই দম্পতির তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে দ্বিতীয় সে। পেশায় রাজমিস্ত্রি জাকারিয়ার যৎসামান্য আয়ের ৬ সদস্যের পরিবার ঠিকভাবে চলে না। সেখানে চার ছেলেমেয়ের লেখাপড়া চিন্তায় করা যায় না।
তারপরও ওই দম্পতি ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বিষয়ে আন্তরিক। সংসারের শত অভাব অনটনের মধ্যেও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছেন। জাকিয়া সুলতানা’র বড় বোন জয়নব আরা স্মৃতি পড়েন ঢাকা নার্সিং কলেজে। আর ভাইবোনের মধ্যে দ্বিতীয় জাকিয়া সুলতানা সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী মহাবিদ্যালয় এবারে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এর আগে সে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৭ সালে গোল্ডেন জিপিএ-৫ নিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়। এরপর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভর্তিও সুযোগ পায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে।
তাঁর ছোট বোন জিহাদ নাহার ঋতু সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী মহাবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়ন করছে। আর সবার ছোট ভাই আব্দুল্লাহ প্রামানিক স্মরণ। তাঁর বয়স চার বছর। জাকিয়া সুলতালা তাঁর এ সফলতার জন্য বাবা-মাসহ প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকার অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। সেই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সৈয়দপুর শহরের মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টার বিট’স্ এর পরিচালক প্রভাষক মো. আব্দুল হাফিজ হাপ্পু প্রতিও। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি ফলাফল প্রকাশের পর রাজমিস্ত্রির মেয়ে জাকিয়া সুলতানার মেডিকেলে ভর্তি সুযোগ পেয়েছে এ ছড়িয়ে পড়ে। আর এ খবরে শহরের অনেকেই জাকিয়াদের বাড়িতে তাকে দেখতে ছুঁটে আসেন। এ সময় তারা তাঁর ভবিষ্যতে আরো সফলতা কামনা করেন।
সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী কলেজের অধ্যক্ষ মো. গোলাম আহ্মেদ ফারুক বলেন, জাকিয়া সুলতানা অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী। তাঁর লেখাপড়ায় আমরা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাকে যথাসাধ্য সহযোগিতা দিয়েছি। আগামীতে সে সমাজের বিত্তশালীদের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেলে আরো ভাল করবে বলে জানান তিনি।