কিশোরগঞ্জে অবৈধ মাছ শিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে হামলার শিকার মৎস্য কর্মকর্তা

মোঃ শামীম হোসেন বাবু,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তা ক্যানেলে অবৈধভাবে মাছ শিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে  উপজেলা মৎস্য অফিসের লোকাল এ্যাক্সটেনশন  এজেন্ট ফর ফিসারিস জামেদ আলীকে মারধর করে  আটকে রাখে অবৈধ মাছ শিকারীরা। এসময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কাশেম কোন রকমে চলে আসেন।  ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে। পরে পুলিশ গিয়ে জামেদ আলীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কাসেম বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে (নভেম্বর মাসে)  রংপুর দিনাজপুর তিস্তা সেচ ক্যানেলের  কিশোরগঞ্জ অংশের  সদর ইউনিয়নের চেংমারী ব্রীজ থেকে জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার এলাকায়  সরকারীভাবে ৮ লাখ টাকা ব্যায় করে মাছের পোনা ছাড়া হয়। মাছের পোনা ছাড়ার পর সরকারীভাবে মাছ ধরা নিষেধ করে মাইকিং সহ বিভিন্ন জায়গায় সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়। গত বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধভাবে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ  ধরার  সংবাদ পেয়ে আমি আমার অফিসের ষ্ট্যাফদের নিয়ে  অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে কিশোরগঞ্জ অংশের বগুলাগাড়ী থেকে ১৫ টি কারেন্ট জাল আটক করে অফিসের দিকে রওনা হই। এসময় হঠাৎ করে অবৈধ মাছ শিকারীরা পিছন থেকে আমাদের ধাওয়া করে আমার অফিসের এ্যাক্সটেনশন ফর ফিসারিস জামেদ আলীকে তাঁর টিভিএস মোটর সাইকেল সহ আটক করে রাখে। আমি অফিসে এসে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম স্যারকে অবগত করি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, তিস্তা সেচ ক্যানেলের বগুলাগাড়ী অংশটুকু কিশোরগঞ্জ উপজেলার মধ্যে  পড়লেও  সেটি জলঢাকা থানা এলাকার। আমরা জলঢাকা থানা পুলিশের মাধ্যমে জামেদকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।
জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন , জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে পুলিশ পাঠিয়ে জামেদ আলীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3796776957192942971

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item