কিশোরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফের নারী কার্ডধারীদের ধর্ষনের হুমকীর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি -নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউপি চেয়ারম্যান ভিজিএফ নারী কার্ডধারীদের অশ্লীল ভাষায় জেনা (ধর্ষন) করার হুমকী দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমন হুমকী দিয়ে ওই কার্ডধারীদের মাঝে চাল বিতরন তিনি বন্ধ করে দেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান আনিছের বিচারের দাবিতে ওই নারীরা বিক্ষোভ ও  কিশোরগঞ্জ-নীলফামারী সড়ক ঘন্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখে। এ সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জানা যায়, উপজেলার কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ঈদ উপলক্ষে সরকারের পক্ষে বিনামূল্যে চাল বিতনের জন্য ৬ হাজার ৯৬৪টি কার্ড প্রদান করে। এতে প্রতি কার্ডধারী চাল পাবেন ১৫ কেজি করে। সেই সঙ্গে ৩ জুনের মধ্যে চাল বিতরন শেষ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান চার হাজার কার্ডের চাল বিতরনের পর বাকী কার্ডের চাল বিতরনে গড়িমসি শুরু করে। মঙ্গলবার দিনভর ওই সকল নারী কার্ডধারীরা চাল নেয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ভিড় করতে থাকে। কার্ডধারীদের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান তাদের চাল দিবেনা বলে ঘোষনা দেয়। কেন চাল দিবেনা কার্ডধারীরা জানতে চাইলে ইউপি
চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে বলে তোমরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমার শ্বশুড় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন বাবুলকে নৌকায় ভোট দাওনি। তোমরা আনারস মার্কায় ভোট দিছো। তোমাদের চাল নাই। নারী কার্ডধারীরা ইউপি চেয়ারম্যানের এই কথায় প্রতিউত্তরে বলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাল দিছে। আমরা চাল নিয়ে যাবো। সে সময় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছোট ভাই আনিছার রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে নারী কার্ডধারীদের হুমকী দিয়ে বলে তোমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আগে জেনা (ধর্ষন) করবো তারপর চাল দিবো। দেখি তোরা কোথায় থেকে চাল পাইস।
ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছোট ভাইয়ের এমন অশ্লীল ভাষার প্রতিবাদে নারী কার্ডধারীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছোট ভাইয়ের বিচার ও গ্রেফতারের দাবিতে
 ইউনিয়ন পরিষদের সামনে কিশোরগঞ্জ-নীলফামারী সড়ক অবরোধ করে। এ সময় যুবলীগের নেতা কর্মীরাও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে  সড়ক অবরোধে যোগ দেয়।  বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ঘন্টা ব্যাপী সড়ক অবরোধে সড়কের দুই ধারে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সংবাদ শুনে কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ্ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইলট ও কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ ঘটনাস্থলে এসে দোষী ইউপি চেয়ারম্যানের বিচারের প্রতিশ্রতি দিলে বিক্ষুব্ধরা শান্ত হয়। তবে ওই নারী কার্ডধারীদের চাল ছাড়াই বাড়ী ফিরতে হয়েছে।
ওসি জানান বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। ওই সকল নারী কার্ডধারীরা লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে বিক্ষুব্ধ ও কার্ডধারী ময়মনা বেওয়া(৭০) সহ অসংখ্য নারী কার্ডধারীরা বলেন, “কাউন্সিলত দিনটা শ্যাষ করিয়াও চেয়ারম্যান চাউল দেলে (দিল) না, উল্টা হামাক বাড়ি বাড়ি গিয়া জেনা(ধর্ষন) করিবার কথা কইয়া মাও-বুড়ি তুলি গাইল দেলে। হামরা ওর বিচার চাই।”
এ ব্যাপারে সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান আনিছের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার চেস্টা করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন জানিয়ে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার চেস্টা করা হলে তিনি ছুটিতে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। #

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 8333127961973946538

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item