সৌদি আরবে গৃহকর্তাকর্তৃক নির্যাতনের শিকার পার্বতীপুরের আরজিনা দেশে ফেরার উপায় পাচ্ছে না।
https://www.obolokon24.com/2019/06/dinajpur.html
এম এ আলম বাবলু পার্বতীপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা ঃ
দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের ৩ সন্তানের জননী আরজিনা(২৯) সৌদিতে গৃহপরিচালিকার কাজে গিয়ে গৃহকর্তা কর্তৃক নির্যাতনের শিকার। দেশে ফেরার জন্য আকুতি। কিন্তু ফিরবে কিভাবে তার পাসপোট ভিসা সৌদি গৃহকর্তা কেড়ে নিয়েছে। এদিকে মোবাইলে আরজিনা তার স্বামী ও মার সঙ্গে যোগাযোগ করে নির্যাতনের কথা বলে হাউমাউ করে কান্নাকাটি করছে। যে কোন মুহুর্তে তাকে মেরে ফেলা হবে আশংকা করছে আরজিনা। দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার মন্মথপুর ইউনিয়নের হয়বৎপুর গ্রামে আরজিনার বাবার বাড়ী। তার বিয়ে হয় পার্বতীপুর পৌর এলাকার রিয়াজনগর মহল্লার মনসুর আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান(৩৫) ওরফে মস্তানের সাথে। তার স্বামী পেশায় রিক্সা চালক। তার ঘরে ফুটফুটে ৩ টি সন্তান রয়েছে। অভাবের সংসার উন্নতির লক্ষে স্থানীয় দালাল আজিজুলের খপ্পড়ে পড়ে এনজিও ও দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গত ৩ মাস পূর্বে সোনালী স্বপ্ন পূরণের লক্ষে সৌদিআরব পাড়ি জমায়। রিয়াদ সিটির নাহদা জেলায় এক সৌদি পরিবারের গৃহপরিচারিকার কাজ পায়। আরজিনা মোবাইল ফোনে পরিবারের সদস্যদের জানায়, তার কাছ থেকে পাসপোট ভিসা কেড়ে নিয়ে রাখে সৌদি গৃহকর্তা। অল্প কাজের ক্রটি হলেই তার উপর চলে অমানসিক নির্যাতন। শুধু নির্যাতনই নয় গৃহকর্তার যৌনলালসার শিকারও হতে হয় আরজিনাকে। তাকে থাকতে হয় শেতশ্বেতে অন্ধকার কুটিরে। আরজিনা আরও বলেন সেখানকার কোন ঠিকানা তাকে জানানো হয় নি এমনকি গৃহকর্তার বাসার পরিচয় ঠিকানা পর্যন্ত জানানো হয়নি। তার মা বৃদ্ধ জাহানারা বেগম মেয়ের দুসংবাদ শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে। ৩ সন্তান মানতাসা (১১), মাফুয়া (৭) ও আমির হামজা (৩) আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। মা আসবে বলে তারা পথ চেয়ে আছে। এঅবস্থায় আরজিনার ফোন পেয়ে তার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মস্তান তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। গত ৩১ মে ২০১৯ বিকালে পার্বতীপুর উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে ৩ সন্তান, পরিবারের সদস্যসহ শতাধিক নারীপুরুষ মানবন্ধনে অংশ গ্রহণ করে। গত শুক্রবার আরজিনার পরিবারের সদস্যরা পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এ বিষয়ে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। পার্বতীপুর পৌর মেয়র এ জেড এম মেনহাজুল হক বিষয়টি অমানবিক বলে আরজিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের ৩ সন্তানের জননী আরজিনা(২৯) সৌদিতে গৃহপরিচালিকার কাজে গিয়ে গৃহকর্তা কর্তৃক নির্যাতনের শিকার। দেশে ফেরার জন্য আকুতি। কিন্তু ফিরবে কিভাবে তার পাসপোট ভিসা সৌদি গৃহকর্তা কেড়ে নিয়েছে। এদিকে মোবাইলে আরজিনা তার স্বামী ও মার সঙ্গে যোগাযোগ করে নির্যাতনের কথা বলে হাউমাউ করে কান্নাকাটি করছে। যে কোন মুহুর্তে তাকে মেরে ফেলা হবে আশংকা করছে আরজিনা। দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার মন্মথপুর ইউনিয়নের হয়বৎপুর গ্রামে আরজিনার বাবার বাড়ী। তার বিয়ে হয় পার্বতীপুর পৌর এলাকার রিয়াজনগর মহল্লার মনসুর আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান(৩৫) ওরফে মস্তানের সাথে। তার স্বামী পেশায় রিক্সা চালক। তার ঘরে ফুটফুটে ৩ টি সন্তান রয়েছে। অভাবের সংসার উন্নতির লক্ষে স্থানীয় দালাল আজিজুলের খপ্পড়ে পড়ে এনজিও ও দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গত ৩ মাস পূর্বে সোনালী স্বপ্ন পূরণের লক্ষে সৌদিআরব পাড়ি জমায়। রিয়াদ সিটির নাহদা জেলায় এক সৌদি পরিবারের গৃহপরিচারিকার কাজ পায়। আরজিনা মোবাইল ফোনে পরিবারের সদস্যদের জানায়, তার কাছ থেকে পাসপোট ভিসা কেড়ে নিয়ে রাখে সৌদি গৃহকর্তা। অল্প কাজের ক্রটি হলেই তার উপর চলে অমানসিক নির্যাতন। শুধু নির্যাতনই নয় গৃহকর্তার যৌনলালসার শিকারও হতে হয় আরজিনাকে। তাকে থাকতে হয় শেতশ্বেতে অন্ধকার কুটিরে। আরজিনা আরও বলেন সেখানকার কোন ঠিকানা তাকে জানানো হয় নি এমনকি গৃহকর্তার বাসার পরিচয় ঠিকানা পর্যন্ত জানানো হয়নি। তার মা বৃদ্ধ জাহানারা বেগম মেয়ের দুসংবাদ শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে। ৩ সন্তান মানতাসা (১১), মাফুয়া (৭) ও আমির হামজা (৩) আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। মা আসবে বলে তারা পথ চেয়ে আছে। এঅবস্থায় আরজিনার ফোন পেয়ে তার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মস্তান তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। গত ৩১ মে ২০১৯ বিকালে পার্বতীপুর উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে ৩ সন্তান, পরিবারের সদস্যসহ শতাধিক নারীপুরুষ মানবন্ধনে অংশ গ্রহণ করে। গত শুক্রবার আরজিনার পরিবারের সদস্যরা পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এ বিষয়ে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। পার্বতীপুর পৌর মেয়র এ জেড এম মেনহাজুল হক বিষয়টি অমানবিক বলে আরজিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।