উইন্ডিজকে হারিয়ে টাইগারদের শুভ সূচনা

অনলাইন ডেস্ক



ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে উইন্ডিজকে পাত্তাই দিল না বাংলাদেশ। উইন্ডিজের ২৬১ রানের জবাবে তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসানের অর্ধশতকে ৮ উইকেটের বিশাল জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে শুভসূচনা করলো টাইগার বাহিনী।
মঙ্গলবার (৭ মে) ডাবলিনে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ব্যাটিংয়ে শুরুটা দারুণ করেন ক্যারিবীয় ওপেনার হোপ ও সুনীল অ্যামব্রিস। দুজনে মিলে তুলেন ৮৯ রান।

 ইনিংসের ১৭তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই অ্যামব্রিসকে (৩৮) ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন টাইগার অফ-স্পিনার মিরাজ। পরের ওভারে ড্যারেন ব্র্যাভোকে (১) উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিতে দিতে বাধ্য করেন সাকিব আল হাসান।
৯২ রানে ২ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন হোপ। তাকে সঙ্গ দেন রোস্টন চেজ। দুজনে মিলে যোগ করেন ১১৫ রান। ১২৬ বলে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরির দেখা পান হোপ। সেঞ্চুরিটি ১০ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো।
সেঞ্চুরি করার পথে ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজের ২০০০ রান পূর্ণ করেন শাই হোপ। ৫১তম ম্যাচ আর ৪৭তম ইনিংসেই এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন এই ওপেনার। উইন্ডিজের হয়ে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে এই কীর্তি গড়ার পথে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন ক্যারিবীয় গ্রেট ভিভ রিচার্ডসকেও (৪৮ ইনিংস)।
দারুণ এক ফিফটি করে মোস্তাফিজুরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন চেজ। ২ রান যোগ হতেই মাশরাফির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে ফেরেন সেঞ্চুরিয়ান হোপ। দুজনকে মাত্র ৩ বলের ব্যবধানে ফেরান মাশরাফি। পরে তার তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন উইন্ডিজ অধিনায়ক হোল্ডারও। এরপর বলার মতো রান আসে শুধু অ্যাশলে নার্সের (অপরাজিত ১৯ রান) ব্যাট থেকে। শেষ ৫৫ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন টাইগার বোলাররা। অবশেষে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সামনে ২৬২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে উইন্ডিজ।
বল হাতে ১০ ওভারে ৪৯ রান খরচে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন মাশরাফি। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও মোস্তাফিজ। তবে রান খরচে অকৃপণ (৮৪) ছিলেন কাটার মাস্টার। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব ও মিরাজ। রান হাতে দুজনেই ছিলেন বেশ কৃপণ। সাকিব ১০ ওভারে খরচ করেছেন ৩৩ রান আর মিরাজ সমান ওভারে দিয়েছেন ৩৮ রান।
২৬২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট হাতে দেখেশুনে খেলার পথ বেছে নেন দুই টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। সেই মতো খেলেই প্রথম ১০ ওভারে দুজনে মিলে তুলেন মাত্র ৩৮ রান। কিন্তু এরপরই হাত খুলে খেলতে শুরু করেন দুজনেই।
ইনিংসের ১২তম ওভারে ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডারকে প্রথম ছক্কা মারেন সৌম্য। ১৮তম ওভারের শেষ বলে হোল্ডারকেই বাউন্ডারি হাঁকানোর মাধ্যমে নিজের অষ্টম হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। এ মাইলফলকে পৌঁছতে ৪৭ বলে ৭ চার এবং ১টি ছক্কা হাঁকান সৌম্য।
খানিক পরই সৌম্যর দেখাদেখি নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৫তম ফিফটি তুলে নেন তামিম। রয়েসয়ে খেলা তামিম ৭৮ বলে ৫ চারের মারে এ মাইলফলকের পৌঁছান।
দলীয় ১৪৪ রানের মাথায় দুর্দান্ত খেলা সৌম্য সাজঘরে ফিরে যান রোস্টন চেইসের শিকার হয়ে। এরপর দলীয় ১৯৬ রানে হোল্ডারের হাতে কাছে ক্যাচ প্যাভিলিয়নে ফিরেন তামিম।
বিদায় নেওয়ার আগে সৌম্য ৬৮ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন। তার ওপেনিং সঙ্গী তামিম ১১৬ বলে ৭টি চারে ৮০ রান করেন।
এরপর সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীম ৬৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। সাকিব ৬১ বলে ৬১ রান এবং মুশফিক ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
উইন্ডিজের দুটি উইকেট নেন শ্যানন গাভরিল ও রোস্টন চেজ।

পুরোনো সংবাদ

খেলাধুলা 3180190564519454203

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item