রংপুর সদরে হরিদেবপুর সহ ৫টি ইউনিয়নে অবৈধ্যভাবে বালু উওোলন

হাজী মারুফঃ বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে ও দেশের মানুষের ভাগ্যন্নয়নের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। সারদেশে প্রতিটি জেলা, উপজেলার ভুমিহীন মানুষদের ভাগ্য উন্ননের লক্ষে। বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোটি-কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছেন উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য। অথচ রংপুর সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন হরিদেবপুর, চন্দনপাট, খলেয়া, সদ্যপুস্করণী, মমিনপুরসহ রংপুর সদর উপজেলার কোথাও উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়নের ছোয়া দেখা যায়নী। উপড়ন্ত বিভিন্ন সরকারী বে-সরকারী খাল বীল নদী নালা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের দখলে। এই চক্রটি বছরের পর বছর এসব নদী নালার বালু উত্তোলন সরকারী গাছ-গাছালী কেটে সাবার করছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করার ফলে সরকারী বে-সরকারী স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা সড়ক ভেঙ্গে ফেলছে। এই বালু খেকো চক্রটির বিরুদ্ধে স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ পত্রে অসংখ্য সংবাদ প্রকাশ হলেও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যত কোন আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি। একই দায়ীত্বের কিছুটা পালন স্বরুপ ভুমী অফিস যদিও বালু উত্তোলন কারীদের কারণ দর্শাও নোটিশ প্রেরন করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত বিষয়টি টালবাহানা করে আসছেন দীর্ঘ সময় ধরে। সরকারী পরিপত্র অনুযায়ী- ভ-ুগর্ভস্থ বালুর মালিক হচ্ছেন সরকার। জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের লিখিত নির্দেশ ছাড়া কেউ ভ-ুগর্ভের বালু উত্তোলন করতে পারবেনা । অথচ রংপুর সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে অবৈধভাব কোন অনুমতি ছাড়াই ভু-গর্ভ থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে দীর্ঘদিন থেকে একটি অসাধু চক্র। এই চক্রটি বিভিন্ন কায়দায় বালু তুলে কয়েক বছরে কোটি কোট টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এই চক্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হরিদেবপুরের মোস্তা হাজি ও ওসমান গং। নজিরের হাট এলাকায় বাবলা, সাহেবআলী ও সাওন গং। এদের বিরুদ্ধে স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ পত্রে অসংখ্য সংবাদ প্রকাশ এবং এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তি কর্তৃক অসংখ্য লিখিত অভিযোগ দিলেও, রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত সাদিয়া সুমী কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেন নি। তিনি প্রতিবেদকে বলেন যে, এ্যাসিল্যান্ড ছন্দা পাল মাঠ পর্যায়ে যাবেন । সাংবাদিকরা ছন্দা পালএর কাছে গেলে তিনি বলেন আমি কাজে যে ব্যস্ত কিভাবে যাই আমার পক্ষে যাওয়া সন্ভব নয় ।

 দায়িত্ব পালনের স্বার্থে দায়সারা ভাবে লোক দেখানো দু’একটি কর্মকান্ড চালালেও, তেমন জোড়ালো পদক্ষেপ না নেয়ায় হয়তো দু’চারদিন বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও পুণঃরায় তা চালু হয়ে যায়। এমনও দেখা গেছে অভিযানে নামার পূর্বেই বালু খেকোদের সংশ্লিষ্ঠ দপ্তর থেকে জানিয়ে দেয়া হয়, আপনারা দু’একদিন মেশীন বন্ধ রাখুন আমরা আসছি। তথ্য পাচারের এই কর্মটিও করেন উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে সম্পৃক্তরাই। হরিদেবপুর ইউনিয়নের বাইশের দোলা এলাকায় নদীর বালু উওোলন করছে প্রভাবশালী জাতীয়পাটির ওলামাদলের সভাপতি তিনি বলেন টিভি সাংবাদিক আমার আত্বীয় হয় আপনারা লিখে কি করবেন সব দপ্তরে আমাদের লোকজন আছে এমনকি তিনি বিরোধী দলীয় হুইফ মশিউর রহমান রাঙ্গার নাম ভাঙ্গান ।
 ও ওসমান নামের একজন অসাধু ব্যাক্তি জাতীয় পাটির ওলামাপাটির  সভাপতি ও তার ভাই মোস্তা হাজী এবং ওসমান গং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বালূ তুলে বিত্রিু করছে ।রংপুর সদরের নজিরেরহাটেও ১২টি মেশিন বসিয়ে জাতীয়পাটি ও আ”লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় বালু উওোলন চলছে বছরের পর বছর। স্থানীয় ভাবে এই সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিকার করার সাহস কেউ পায়না। কেহ কোন প্রতিবাদ করলে উল্টো তার বা তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। সংবাদপত্রের বিভিন্ন প্রতিনিধিরা এসব কর্মকান্ডের বিষয়ে রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত সাদিয়া সুমীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এসব বিষয়ে কিছুই করতে পারবনা। আপনারা যা পারেন করেন। তার কথার উত্তরে সংবাদকর্মীরা সরকারের পরিপত্রে বালু উত্তোলন সংক্রান্ত বিষয়টি উত্থ্যাপন করলে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত সাদিয়া সুমী হরিদেবপুর ইউনিয়নের বাইশের দোলার বালু উওোলন পয়েন্টে যেয়ে সাময়িক সময়ের জন্য বালু খেকোদের কর্মকান্ড বন্ধ করে দেন। যদিও বন্ধ পয়েন্টের কর্মকান্ড কয়েকদিন পর পুনরায় শুরু হয়েছে। জাতীয় পাটির কথিত ঐ নেতা বালু খেকো ওসমানকে বালু উত্তোলনের বৈধতা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে। তিনি বলেন ভু-গর্ভের বালু উত্তোলন করছি কয়েক বছর, টাকা খরচ না করলে কি এমনি এমনি বালু তুলতে পারি ? প্রতিটি দপ্তরে টাকা দেওয়া আছে এবং সদর উপজেলা কোতয়ালী থানা কন্টাক করা আছে ।কোতআলী থানার ওসি সাদেদুল মুচকি হেসে বলেন উপজেলা নির্বাহী পদক্ষেপ নিলে আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সহযোগীতা করে থাকি । অনেক এলাকা ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে তার সত্যতা স্বীকার করেন ওসি । হরিদেবপুরের ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ ।

আপনারা কিছু করতে প্রালে করেন। রংপুর সদর উপজেলাবাসী এই সব অবৈধ নদীর বালু উত্তলনের পয়েন্ট বন্ধ করতে রংপর জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। হরিদেবপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য লিয়াকত আলী, জামাল, কামাল প্রকাশ দও, সাকেরা বানু ওসিমত, সাজেদুল সাজু জানান, একবার ইউএনও এসে বন্ধ করে দিলে আবার কি ভাবে তারা ঐ বালুর পয়েন্ট চালু করেন। এতেই বোঝাযায় প্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তারা চাননা স্থায়ী ভাবে এই অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করতে।


পুরোনো সংবাদ

রংপুর 5824687322480739266

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item