কিশোরীগঞ্জে রেশম র্যালি ও চাষি সমাবেশ অনুষ্ঠিত
https://www.obolokon24.com/2019/04/kisargang_10.html
সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর হতে বণাঢ়্য র্যালী বের হয়। র্যালীটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। র্যালী শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে চাষি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেশন উন্নয়ন বোর্ডের মহা পরিচালক মুঃ আব্দুল হাকিম। রাজশাহী রেশম বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক এম আসিফ মান্নানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, কিশোরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মোঃ আবুল কালাম বারী পাইলট , জলঢাকা ও নীলফামারী সদরের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজাউদৌলা, ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতেমা,সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম গোলাম কিবরিয়া।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক রেশম সম্প্রসারন কাযালয়ের উপ পরিচালক সাজেদুর রহমান। রেশম ও তুত চাষিদের মধ্যে বক্তব্য দেন একরামুল হক,শামীম হোসেন বাবু ও মাহমুদুল হোসেন শিহাব।
সমাবেশে জানানো হয় দেশে রেশম সুতার চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩ শত মেট্রিক টন। সেখানে উৎপাদন হয় ৪৫ থেকে ৫০ মেট্রিক টন। চাহিদা পুরণে রেশম শিল্প উন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক কর্মসুচি হাতে নিয়েছে। এই কর্মসুচির অংশ হিসেবে নীলফামারীর চারটি উপজেলার রেশম পল্লী গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখবে। রেশম চাষ অত্যান্ত লাভজনক। তুত চাষে তেমন পুজি ও শ্রমের প্রয়োজন হয় না। অন্যদিকে রেশম সুতার বাজার মুল্য বেশি হওয়ায় তুত চাষ করে দারিদ্র বিমোচন করা সম্ভব।
আয়োজকরা জানান, দারিদ্র বিমোচনের ও রেশম শিল্পের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে ও সম্বনিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নীলফামারী জেলার জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় রেশম পল্লী গঠন করা হয়েছে। এ জেলায় ৩৩৬ জন চাষিকে রেশম পল্লীর আওতায় এনে প্রশিক্ষন দিয়ে রেশম চাষে উন্নত তুত গাছের চারা,পলু ও পলু পালনে ঘরসহ অন্যান্য উপকরনাদি প্রদান করা হয়েছে। এর ফলে এর এলাকায় দিন দিন রেশম চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে।সমাবেশে ১৫০জন রেশম চাষি, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।#