স্থলবন্দর বাস্তবায়ন- চিলাহাটি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে যুগ্ম-সচিব

এ.আই.পলাশ.চিলাহাটি,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি স্থল বন্দর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চিলাহাটি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন ২ যুগ্ন-সচিব।আজ বৃহস্পতিবার(১১ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে  ভোগডাবুরী ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া ৭৮২ মেইন পিলার সংলগ্ন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম-সচিব (এনডিসি) আনিছ আহমেদ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব আব্দুল মোতালেব।এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডোমার উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ,ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বসুনিয়া, ভোগডাবুরী ইউপি চেয়ারম্যান একরামূল হক, কেতকীবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক দিপু, স্থানীয় সাংবাদিক, প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা ও আওয়ামী-লীগের নেতৃবৃন্দ।স্থলবন্দর এলাকাটির অবকাঠামো এবং স্থানটি পরিদর্শন করে স্থলবন্দরের রাস্তা ও অবকাঠামো তৈরীর ম্যাপ ও কাগজপত্র দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন’কর্মকর্তাবৃন্দ।  স্থলবন্দর বাস্তবায়নের সম্ভ্যাব্য এলাকাটি পরিদর্শন শেষে উর্ধতন কর্মকর্তারা বলেন, ‘অতিদ্রুত এই স্থলবন্দরের কার্যক্রম এবং দুই দেশের রেল যোগাযোগ অচিরেই শুরু হবে।
উল্লেখ্য যে,১৯৬৫ সাল পর্যন্ত চিলাহাটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রেল সংযোগ ছিল। পাক-ভারত যুদ্ধের সময় এটি বন্ধ হলেও চালু ছিল শুল্ক স্টেশন ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। ২০০২ সালে বন্ধ হয়ে যায় সেটিও। ২০১১ সালের ১৯ জুন পরিদর্শনে এসে চিলাহাটি শুল্ক স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর করার ঘোষণা দেন সে সময়ের নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান।চিলাহাটি স্থল বন্দর মন্ত্রী সভার বৈঠকে অনুমোদনের পর ২০১৩ সালের ১লা আগস্ট স্থলবন্দরের কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয় ও স্থলবন্দর অধিক শাখা একটি গেজেট প্রকাশ করে।স্থলবন্দর বাস্তবায়নের লক্ষে ৩৩ বিঘা খাস জমি অধিগ্রহন করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায় দেশে বর্তমানে ১৭টি স্থলবন্দর রয়েছে। আর শুল্ক স্টেশন রয়েছে ১৭৯টি। ১৭টি স্থলবন্দরের মধ্যে মূলত সাতটি স্থলবন্দর সচল। বাকি স্থলবন্দরগুলোতে আমদানি-রফতানি কম। দর্শনা স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে চালু রয়েছে শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম। সে হিসাবে চিলাহাটি স্থলবন্দর চালু হলে ভারত, নেপাল ,ভুটান, ও চীনের সঙ্গে বানিজ্যিক যোগাযোগ বৃদ্ধির হবে। পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার আমদানি-রপ্তানীকারক ও শিল্প উদ্যোক্তা উত্তরা ইপিজেড ও দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলে বিনিয়োগ এবং ব্যবসা বানিজ্যে আগ্রহী হবেন। স্থলবন্দরটি নীলফামারী জেলার আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে । নীলফামারীতে উত্তরা ইপিজেড,দারোয়ানী টেক্সটাইল মিল ও সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা শিল্পায়ানের দ্রুত বিকাশসহ হাজার হাজার বেকার কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 9222940201136567344

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item