সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ, ডোমারে নেসকো’র পদস্থ কর্মকর্তাদের অপকর্মের দায়ে ১২পিচরেট কর্মচারী চাকুরীচ্যুত!

আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে নেসকো লিঃ এর পদস্থ কর্মকর্তাদের অনিয়ম,দূর্নীতির দায় ১২পিচরেট কর্মচারীদের ঘাড়ে চাপিয়ে তাদের চাকুরীচ্যুত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগীরা।
অপরদিকে দীর্ঘ ২৫বছরের কর্মজীবন হঠাৎ স্তব্ধ হওয়ায় ১২টি পরিবার তাদের পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে বলে জানাগেছ। ২ মার্চ শনিবার সকাল ১০টায় নীলফামারী সবুজ পাড়া ওয়াপদা মোড় এলাকায় সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে অভিযোগ গুলো করেন চাকুরী হারা  কর্মচারীরা। লিখিত বক্তব্য থেকে জানাগেছে, উপজেলার নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই লিঃ পিডিবি’র নিকট থেকে দ্বায়িত্ব নেয়ার পর এখানকার কর্তা ব্যাক্তিরা নতুন গ্রাহকদের বিদ্যুতের সংযোগ দেয়ার পরও তাদের নামে বীল না দেওয়া, মিল কারখানার  মালিকদের অনৈতিক বিদ্যুৎ সুবিধা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ইউনিট চুরি সহ লাগামহীন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ে সিস্টেম লস। আর এই সিষ্টেম লসের মাত্রা সহনীয় রাখতে পদস্থ কর্মকর্তারা অফিস আদেশ জাড়ি করে সাধারণ গ্রাহকদের ঘাড়ে চাপনো হয় ভৌতিক বিল। ভৌতিক বিলের তারনায় অতিষ্ঠ গ্রাহক বিষয়টি দূর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করে।  দুদক ১৩৪ টি অভিযোগ আমলে নিয়ে  ডোমারে গণ শুনানীর আয়োজন করে। সেখানে কর্মকর্তাবৃন্দ সকল অভিযোগের দ্বায় স্বীকার করে তা ২ সাইকেল মাসের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দেন,সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান। দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা অবস্থা বেগতিক দেখে তরিঘড়ি  প্রহসন মূলক তদন্ত করে নিজেদের দোষ আড়াল করে,  ১২জন পিচরেট মিটার পাঠক ও ১জন বিল বিতরণকারীকে চাকুরী থেকে অব্যহতি দেয়। উদোর পিন্ডি বুদোর ঘারে চাপিয়ে, নিজেদের গা বাচাঁতে ও দূদককের চোখে ধুলো দিতে এমনটি করা হয়েছে  বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়। এবিষয়ে পিচরেট মিটার পাঠক জাকির হোসেন প্রতিবেদককে জানান,তৎকালিন নির্বাহী প্রোকৗশলী সাইফুলুুুুুুু ইসলাম মন্ডল, মিল কারখানার মালিকদের অনৈতিক বিদ্যুতিক সুবিধা দিয়ে সিষ্টেম লসের মাত্রা ৫০শতাংশে ঠেকে। তখন চাকুরী বাঁচাতে গ্রাহককের উপর ভৌতিক বীল চাপানোর জন্য আমাদের তাগিদ দেয়। আমরা তা করতে অস্বীকার করলে গত ১২/০৯/১৭ইং তারিখে বিবিবি/নওজোপাডিকো/ডোমার১.২২/২০১৭-১৮ নং স্বারক বলে অফিস আদেশ জারি করে সাধারণ গ্রাহকদের ব্যবহৃত লোডের উপর ১শত ইউনিট করে বেশি বীল করার জন্য আমাদের বাধ্য করে। অথচ আজ সেই আদেশ পালন করতে যেয়ে আমরা চাকুরী হারা। তিনি আরো বলেন,দুদকের কাছে করা ১৩৪টি অভিযোগের মধ্যে একটিতেও পিচরেট মিটার পাঠকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নাই। অপর মিটার পাঠক আব্দুল হান্নান বলেন,উচ্চ আদালত চাকুরী স্থায়ী করনের জন্য আমাদের একটি রিট বিচারাধীন ও যাহার মামলা নং রিট পিটিশন ৫৯২৫/২০১৭,  এবং ১৯৮২সালের বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ণ বোর্ডের সার্ভিস আইন লংঘন করে গত ১০/০২/২০১৯ তারিখে আমাদের চাকুরী থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। এটা চরম অন্যয়। এসময় সেখানে পিচরেট মিটার পাঠক সমিটির জেলা সভাপতি এন্তাজ আলী ও সাধারন সম্পাদক ফারুক হাচান সহ বিভিন্ন জেলার পিচরেট মিটার পাঠকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পিচরেট মিটার পাঠক আরজুমান বানু।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 5504945813376831383

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item