সৈয়দপুরে প্রজাপতি স্কুলের পরিচালকসহ এক সহকারি শিক্ষক আটক
https://www.obolokon24.com/2019/02/saidpur_2.html
এসএসসি পরীক্ষার দিতে পারেনি ৫১ শিক্ষার্থী
তোফাজ্জল হোসেন লুতু,সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিনীলফামারীর সৈয়দপুরে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফরম পূরণ করেও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ৫১ শিক্ষার্থী। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড থেকে তাদের প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় শহরের হাতিখানা এলাকায় অবস্থিত প্রজাপতি স্কুলের পরিচালক মো. শাকিল আহমেদকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের হাতিখানাস্থ ওই স্কুল সংলগ্ন বাসা থেকে তাকে আটক করে সৈয়দপুর থানা পুলিশ। এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারি শিক্ষক মো. আলিম হোসেনকেও আটক করা হয়।
জানা গেছে, শহরের হাতিখানা এলাকায় গত সালে ২০০৯ সালে প্রজাপতি স্কুলটি গড়ে ওঠে। এর পরিচালক হচ্ছে উল্লিখিত এলাকার মো. শাকিল আহমেদ। সম্পূর্ণ ব্যক্তি পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির পাঠদানের কোন অনুমতি নেই। নেই একাডেমিক স্বীকৃতি। তারপরও ওই প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ভর্তি করে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ দান করা হয়। তবে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের অনুমতি না থাকায় অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এদের পাবলিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের ব্যবস্থা করা হয়।
অভিযোগে জানা গেছে, প্রজাপতি স্কুলের পরিচালক মো. শাকিল বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে গত নির্বাচনী পরীক্ষায় (টেস্ট পরীক্ষা) অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের বিশেষ ব্যবস্থায় এসএসসি পরীক্ষার সুযোগ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। এরপর তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতিজনের কাছ ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা গ্রহন করেন। এরপর তাদের ফরম পূরণের ব্যবস্থা করেন প্রজাপতির স্কুলের পরিচালক মো. শাকিল। তারা সকলেই শহরের কয়া-গোলাহাট স্কুল এন্ড কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়,সৈয়দপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, আল ফারুক একাডেমি, সানফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ, সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত প্রজাপতি স্কুলের পরিচালক শাকিল আহমেদ জানান, সৈয়দপুর অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার নওখৈর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ফরম পূরণ করা হয়েছে। তিনি জানান বোর্ডেও সকল নিয়মকানুন মেনে শিক্ষার্থীদেও ফরম পূরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার বোর্ড কর্তৃপক্ষ এসব শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র প্রদান করার কথা ছিল, কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তা প্রদান না করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে ।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহজাহান পাশা আটকের কথা স্বীকার করে বলেন,তাদেও বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস. এম. গোলাম কিবরিয়া বলেন, ফরম পূরণ করেও পরীক্ষা দিতে না পেরে ১৫ শিক্ষার্থী তাঁর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।