চিলাহাটিতে নারী লোভী প্রধানশিক্ষকের কান্ড
https://www.obolokon24.com/2019/02/domar_16.html
আজ শনিবার এলাকাবাসী অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানায় কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের বসুনিয়াপাড়া গ্রামের মৃত হায়দার বসুনিয়ার ছেলে এই প্রধান শিক্ষক। সু-দর্শন চেহারার কারনে দীর্ঘদিন থেকে তিনি বিভিন্ন কায়দায় মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে আসছেন। এ কারনেই বাধ্য হয়ে বিয়ে করতে হয়েছে তিনজনকে। ঘরে তার বর্তমানে ৩ স্ত্রী। সম্প্রতিকালে একই স্কুলের এক সহকারি শিক্ষিকাকেও ছাড়েননি এই প্রধান শিক্ষক। তাকেও প্রেমে ফাঁদে ফেলে চতুর্থ স্ত্রী হিসাবে বিয়ে করে। কিন্তু চতুর্থ স্ত্রীকে ঘরে তুলে না পারলে তার সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটায়। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। উক্ত মামলায় তিনি নি¤œ আদালতে জামিন না পাওয়ায় উচ্চ আদালত হতে জামিনে বেরিয়ে পুনরায় চাকুরি করছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ নারী লোভি এই শিক্ষকের এতো ঘটনার পরেও যেন কোন শিক্ষাই হয়নি। এলাকার বোতলগঞ্জ রেলঘুন্টি গ্রামের ঢাকায় চাকুরিরত এক ব্যক্তির স্ত্রী দুই সন্তানের জননীর ঘরে বৃহস্পতিবার রাতে প্রবেশ করে। এ সময় ওই নারীর চিৎকারে গ্রামের লোকজন এসে তাকে আটক করে। এরপর শুরু হয় গণধলাই।
এ ঘটনায় গ্রামবাসীর কাছে ক্ষমা চায় এই শিক্ষক। সেই সঙ্গে এমন ঘটনা তিনি আর কোন দিন করবেনা বলে শপথ নেন। এলাকার আব্দুর রাজ্জাক, রইস মিয়া, আব্দুল জব্বার জানান ক্ষমা চাওয়ায় শেষ বারের মতো তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এবার আরো কোন ঘটনা ঘটালে তাকে আর ছাড় দেয়া হবেনা।
এ ঘটনায় এলাকার এক জনপ্রতিনিধি জানান ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনেক অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু কোন অভিযোগই কাজ হয়না। সে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পার পেয়ে যায়। এলাকার অনেকে জানায় ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভাগীয় মামলা করা প্রয়োজন।