নীলফামারীতে কৃষক জব্বার হত্যা মামলার প্রায় ৫ বছর পর পলাতক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়,নীলফামারী ১৬ ফেব্রুয়ারি॥ কৃষক আব্দুল জব্বার (৪২) হত্যা মামলার রায় ঘোষনার চার বছর ৮ মাস পর মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী তুলাব মিয়া(৪৪) গ্রেফতার হয়েছে। তুলাব নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের নিতাই  ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে।
আজ শনিবার(১৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি হারুন অর রশিদ সংবাদ সম্মেলন করে জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে গাজীপুর পুলিশের সহায়তায় কিশোরীগঞ্জ থানার এস,আই শাহ আলমের নেতৃত্বে শুক্রবার সকালে অভিযান চালানো হয় কালিয়াকৈরের আন্দারমানিক  পূর্বপাড়ায়। সেখানে  আজম নাম ধারণ করে তুলাব নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করত। তাকে সেখানে গ্রেফতারের পর নিয়ে আসা হয়েছে। আজই তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  (সৈয়দপুর সার্কেল) অশোক কুমার পাল জানান কৃষক আব্দুল জব্বার হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আরো ৬ আসামী ও যাবজ্জীবন প্রাপ্ত ১ আসামী এখনও পলাতক রয়েছে। তাদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সুত্রমতে  এই মামলার অপর মৃত্যুদন্ড পলাতক  ৬ আসামী হলো যথাক্রমে একই  উপজেলার একই  গ্রামের মৃত ঘাউয়া মামুদের ছেলে ঢেরাই ওরফে রফিকুল ইসলাম (৪৬), একই উপজেলার উত্তর কুঠিপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক(৪৫), সৈয়দপুর উপজেলার খাতা মধুপুর গ্রামের জোবান আলীর ছেলে আতাহার আলী (৪৫), জলঢাকা উপজেলার কাজীর হাট পুর্বপাড়া গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে মহসীন আলী(৪৭), রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া  উপজেলার খেচনী আলমবিদিতর গ্রামের মৃত মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে মহু  ওরফে মহুবার ডাকাত(৪৮),রংপুর জেলান মন্থনা মাজারের পাড় গ্রামের সহিদার রহমানের ছেলে  মিন্টু মিয়া ওরফে শাহিন ওরফে বিটুল  ওরফে জাহাঙ্গীর(৪৫)।
অপর দিকে একই মামলার যাবজ্জীবন সশ্রম সাজা প্রাপ্ত ২ আসামীর মধ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খাতা মধুপুর গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের দুই ছেলের মধ্যে রফিকুল ইসলাম ওরফে মামুন(৪৫)  পলাতক থাকলেও  অফিসার রহমান (৪২) উচ্চ আদালতে মামলার আপিলে বর্তমানে জামিনে রয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায় জমিজমা সংক্রান্ত নিয়ে গ্রামের মৃত ঘাউয়া মামুদের ছেলে ঢেরাই ওরফে রফিকুল ইসলাম (৪৬),আমির উদ্দিনের ছেলে মোঃ তুলাব একই উপজেলার উত্তর কুঠিপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে কৃষক আব্দুর জব্বারের বিরোধ ছিল। বিরোধের জের ধরেপ্রতিপক্ষ রফিকুল ইসলাম ও তুলাব মিয়া ভাড়া করে লোক এনে ২০০৮ সালের ২৭ জুলাই রাত আনুমানিক ১২টার দিকে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বাগাগিলি ইউনিয়নের নিতাই ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের  কৃষক আব্দুল জব্বারকে তুলে এনে একই ইউনিয়নের অদুরে নয়নখাল নামক স্থানে হাত পা ও চোখ বেধে ধারালো  অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছিল।  ঘটনার পর দিন ২৮ জুলাই হত্যার শিকার আব্দুর জব্বারের ছেলে  আব্দুস সালাম বাদি হয়ে কিশোরীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ শুনানীর ২০১৪ সালের ১৬ জুন দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে নীলফামারীর অতিরিক্ত দায়রা জজ তৎকালিন রেজা মোঃ আলমগীর হাসান উক্ত রায় প্রদান করেন। ওই রায়ে অপর দুই আসামী খালাশ পায়। এ ছাড়া মামলা চলাকালিন এক আসামী রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেছিল।
কৃষক জব্বার হত্যা মামলা পরিচালনায় থাকা সরকার পক্ষের কৌশলী এপিপি আজিজুল ইসলাম  জানান মামলার সকল আসামী সে সময় পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলা কারাগাড়ে বন্দি ছিল। পরে আসামীরা উচ্চ আদালত হতে জামিন নিয়ে আসে। মামলাটি বিচারাধীন অবস্থায় আসামীরা জামিনে থাকা অবস্থায় আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছিল। কিন্তু মামলার শুনানী যে দিন শুরু হলে এক আসামী বাদে ১০  আসামী পলাতক থাকে। আসামীদের আদালতের হাজিরের জন্য আদালতের পক্ষে সকল প্রকার নিয়ম পরিচালনা করে আসামীদের অনুপস্থিতে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক উক্ত রায় প্রদান ও আসামীরা পলাতক থাকায়  তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোওয়ানা জারী করেছিল।।#

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7910442498712785975

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item