গর্ভবতীদেরও ব্যায়াম জরুরি
https://www.obolokon24.com/2018/11/pregnent.html
ছবি প্রতীকী |
দ্রুত হাঁটা
গর্ভবতীদের জন্য সবচেয়ে কার্যকর ব্যায়াম হলো হাঁটাহাঁটি করা। এ ক্ষেত্রে একটু দ্রুতই হাঁটার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যবিদরা। এতে কার্ডিওভাসকুলারের ব্যায়ামও হয়। কিন্তু হাঁটু ও পেটে অতিরিক্ত চাপ পড়ে—এতটা দ্রুত হাঁটা যাবে না। সমস্যা মনে করলে আস্তেই হাঁটতে হবে। আরেকটা বিষয় হলো, হাঁটার সময় দৈহিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে হবে। কারণ গর্ভাবস্থায় দেহের সেন্টার অব গ্র্যাভিটি বদলায়। তাই দুই পায়ের সঙ্গে দেহের ওপরের অংশে সমন্বয় করে হাঁটতে হবে।
সাঁতার
শুনতে অবাক লাগতে পারে যে গর্ভবতী সাঁতরাবেন কিভাবে? এখানে অ্যাথলেটদের মতো সাঁতরানোর কথা বলা হচ্ছে না। পানিতে নেমে এদিকে সেদিক হাঁটাচলা করলেও অনেক উপকার। হাত-পা নড়াচড়া করানোই যথেষ্ট হবে। আর পারলে ধীরে ধীরে সাঁতার কাটা যেতে পারে। যে ভঙ্গিতে সাঁতরাতে সবচেয়ে স্বস্তি লাগে সেটাই করতে হবে। তবে পানিতে নামা ও ওঠার সময় অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে। সুইমিংপুল হলে ভালো। পা ফেলতে হবে মেপে মেপে।
সাইকেল চালানো
তিন বা প্রয়োজনে চার চাকার সাইকেল চালানো যেতে পারে। এটা নিরাপদ। ভারসাম্য হারালেও পড়ে যাওয়ার ভয় নেই। এ ধরনের সাইকেল বাজারে অনেক পাওয়া যায়। ব্যায়াম হিসেবে খুবই কাজের। হৃদযন্ত্রের দেখভাল করে। চাইলে প্রতিদিনই একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে সাইক্লিং করা যায়। তবে দুই চাকার সাইকেলে দক্ষ হলেও না চালানোই ভালো।
অ্যারোবিকস
নারীদের পছন্দের এক ব্যায়াম। তবে গর্ভবতীদের জন্য হালকা মাত্রার অ্যারোবিকসের উপকারিতা অনেক। এতে হাড় ও পেশির সংযোগস্থলের ব্যথা দূর হয়। পেলভিক ফ্লোলের মাসল শক্তিশালী হয়। যারা নিয়মিত অ্যারোবিকস ক্লাসে যোগ দেয় কিংবা বাড়িতে করে, তাদের গর্ভাবস্থার অনেক সমস্যাই থাকে না।
মেডিক্যাল নিউজ টুডে অবলম্বনে